নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার সাতসকালে কলকাতার(Kolkata) বেহালার(Behala) বড়িশায়(Barisha) এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায়(Accident) মৃত্যু হয় মাত্র ৫ বছর বয়সী এক স্কুল পড়ুয়ার(School Student)। আর সেই ঘটনায় ক্ষিপ্ত জনতা অবরোধ, বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ধরানোর পাশাপাশি কাঠগড়ায় তোলে পুলিশকে। এবার সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে লালবাজারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান ক্ষিপ্ত জনতা। তবে ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তেজনা রয়ে গিয়েছে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনে বসল QR Code যুক্ত গেট
বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীর পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের বেহালা চৌরাস্তা এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। জ্বালানো হয় পুলিশের গাড়ি, বাইক। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। কথায় কাজ না হওয়ায় লাঠিচার্জ করা হয়, ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন খাগড়াঘাটে গড়ে উঠবে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন
পরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে সিপি জানান, ‘ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এধরণের ঘটনা আর হবে না।’ প্রসঙ্গত, এদিনের অশান্তিতে জখম হয়েছেন জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক। তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন মৃত খুদের বাবা। তাঁর পায়ে গভীর ক্ষত।