নিজস্ব প্রতিনিধি: মণিপুর(Manipur) নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মণিপুরের দুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বুধ রাতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন মমতা। সেখানেই তিনি বিঁধেছেন কেন্দ্র সরকারকে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে গত ছ’মাস ধরে চলা হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেছেন বিজেপির পাশাপাশি সেখানকার ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’কেও। সন্দেহ নেই মমতার এই ট্যুইট এখন কেন্দ্র সরকারের কাছে বড়সড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার রাতে মমতা ট্যুইট করে লেখেন, ‘মণিপুরে দুই নিহত তরুণের শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। তাঁদের মায়েদের কান্নায় প্রতিফলিত বেদনা এবং যন্ত্রণা আমাকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছে। ওখানকার রাজ্য সরকার কারও কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। তাদের জবাবদিহি করাতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতি হতাশাজনক। ইম্ফলের শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগও গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ন্যায়বিচার এবং ঐক্যের দাবিতে মণিপুরের সঙ্গে আছি। আসুন আমরা মণিপুরের চেতনার পুনর্নির্মাণ এবং পুনরুজ্জীবনে সচেষ্ট হই। একসঙ্গে মিলে আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।’
উল্লেখ্য, মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার অপহরণ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় চলতি সপ্তাহে নতুন করে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। গুজব ঠেকাতে মঙ্গলবার থেকে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার ইন্টারনেট পরিষেবার(Internet Service) ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছ’মাসের জন্য বলবৎ থাকবে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ বা Armed Forces Special Powers Act, যাকে অনেকেই AFSPA বলে চেনেন । এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘বাইরে থেকে আসা কিছু ব্যক্তি মণিপুরে হিংসা ছড়াচ্ছে।’ যদিও সেই বাইরের লোক কারা তার ব্যাখা দেননি জয়শঙ্কর।