নিজস্ব প্রতিনিধি: ছবিটা তিনি বদলাতে চেয়েছিলেন। বদলেওছেন। পরিবর্তনের ১২ বছর বাদে বাংলার মেয়েরা আরেক বাংলার মেয়ের হাত ধরে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে, এগিয়ে গিয়েছে। কেউ এগিয়েছে জীবনের যুদ্ধে। কেউ এগিয়েছে শিক্ষার জগতে। কেউ বা এগিয়েছে চাকরির জগতে। তাঁর কথায়, ‘অনেক ছাত্রী আছে যারা পড়াশোনায় ভাল। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা নেই। তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পান না। সেটা দেখেই আমরা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড চালু করেছি, যাতে পড়াশোনার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে।’ কিন্তু সঙ্গে তিনি এটাও জানালেন, ‘কন্যাশ্রীর(Kanyasree Project) মাধ্যমে বাংলার মেয়েদের জীবন আজ সুরক্ষিত।’ তিনি বাংলার মেয়ে, বাংলার অগ্নিকন্যা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন কন্যাশ্রী দিবসে তিনি বাংলার কন্যাদেরই তুলে ধরলেন বিশ্বের দরবারে।
আরও পড়ুন ‘কঙ্কাল সুশান্ত’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার
সোমবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অষ্টম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত ছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্যের জন্য একাধিক বৃত্তি চালু করেছে রাজ্য। উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড(Students Credit Card) দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই কার্ডের মাধ্যমে পড়াশোনা বাবদ একজন ছাত্রী ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন ব্যাঙ্ক থেকে। কিন্তু কন্যাশ্রী সেটা একদমই আলাদা। বিশ্বের সেরা। ২০১৩ সালে চালু হওয়া কন্যাশ্রী আজ বাংলার অন্যতম সেরা প্রকল্পের রূপ পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। এটা শুধু কোনও অনুদানের প্রকল্প নয়, মেয়েদের উৎসাহিত করা, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও।’ এদিনের অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের কৃতিত্বের জন্য পুরষ্কৃত করা হয় ৩৯ জন কন্যাশ্রীকে। পেন, ছাতা, হাতঘড়ি এবং উৎসাহ ভাতা হিসেবে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন বাবার হাতেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, মা বার বার হারাচ্ছেন জ্ঞান
চলতি বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে সেরা জেলার শিরোপা পেয়েছে হুগলি। দ্বিতীয় হয়েছে হাওড়া জেলা। তৃতীয় স্থান পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলা। কলকাতার আদর্শ বালিকা শিক্ষায়তন, বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস এবং গঙ্গাপুরী শিক্ষাসদন ফর গালর্স স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে কন্যাশ্রীর নিরিখে সেরা স্কুল হিসেবে যথাক্রমে তুলে দেওয়া হয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার। একইভাবে পুরষ্কৃত করা হয় দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ কলেজ, মহারানি কাশীশ্বরী কলেজ এবং শিবনাথ শাস্ত্রী কলেজকেও।