নিজস্ব প্রতিনিধি: পায়ে পায়ে ১০ বছর। কন্যাশ্রী আজ বিশ্বশ্রী। সেই প্রকল্পের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার অর্থাৎ এদিন কন্যাশ্রী দিবসে(Kanyasree Diwas) কলকাতার(Kolkata) ধনধান্য অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কৃষিমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকাও। অছিলেন রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও উপদেষ্টা অনন্যা চ্যাটার্জি চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন জ্ঞান দিয়েছিলেন দলেরই নেতাদের, শেষে নিজেই হারালেন জমি
সেই অনুষ্ঠানেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘আজ কন্যাশ্রী একটি ব্র্যান্ড। আমি বিশ্বাস করি। কন্যাশ্রী দিবস সারা দেশে এক দিন World Girl Child Day হিসেবে পালিত হবে। কন্যাশ্রীর লোগো গরিব মেয়ের ছবিকে নিয়েকে তৈরি করি। যেদিন কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের সেরা প্রকল্পের পুরষ্কার পেয়েছিল সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। কন্যাশ্রীর মেয়েরাই একদিন বাংলাকে গড়বে, বিশ্বকে জয় করবে। কোনও দিন যদি আন্দামান নিকোবর জেলে যাও, দেখবে যত নাম আছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশ নাম আছে বাংলার। আর বাদবাকি পঞ্জাবের। স্বাধীনতার যুদ্ধ, স্বাধীনতার লড়াই সবটাই কিন্তু বাংলা থেকে হয়েছিল। বাংলা যে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল, সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন লাগে না। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার মেধা এগিয়ে চলুক। কেউ যেন থামাতে না পারে।’
আরও পড়ুন বড়ওয়ান পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, একই পথে ভরতপুর-১ও
এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাকে যেন কেউ চমক দেখাতে না পারে। বাংলাকে আমরা চমক দেখাব, উন্নয়নের সঙ্গে। বাংলাকে ধমকানি নয়, চমকানি নয়। বাংলা আমার কাছে আমার ঘর। আমার ঘর, মায়ের শাড়ির আঁচল, আম্মার শাড়ির আঁচল। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সবাই একসঙ্গে থাকবে। বাংলা সংহতির এক প্রধান কেন্দ্র। বাংলাকে কেউ ধমকাবেন চমকাবে না। বাংলার কোনও ধমকানি চমকানির সামনে মাথা নত করবে না। বাংলাকে আমরাই গড়বো, আমরাই চমক দেব।’