এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বড়ওয়ান পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, একই পথে ভরতপুর-১ও

নিজস্ব প্রতিনিধি: একই জেলায়(Murshidabad) পর পর একাধিক ব্লকে দেখা যাচ্ছে একই ছবি। মানুষের রায়কে উপেক্ষা করে দলেরই পিছনে ছুরি মারার ঘটনা। লক্ষ্যণীয় ভাবে সবকটাই একই লোকসভা কেন্দ্রের(Baharampur Lokshabha Constituency) অধীনে। প্রথমে বেলডাঙা-১, তারপর বড়ওয়ান এবং এবার ভরতপুর-১। ৩টি ব্লকের জেতা ৩টি পঞ্চায়েত সমিতির ২টি ইতিমধ্যেই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। আরও ১টি হাতছাড়া হওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন। ঠিক তার আগে একই সংসদীয় এলাকায় একের পর এক জেতা পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। কেননা তাঁদের ধারনা এই সবকটি ঘটনার পিছনে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর প্ররোচনাতেই ৩টি ব্লকের ৩টি পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের। আর সেটাও লোকসভা নির্বাচনের আগে। আর আঁচ পড়তে চলেছে আগামি বছরের ভোটে।

আরও পড়ুন জ্ঞান দিয়েছিলেন দলেরই নেতাদের, শেষে নিজেই হারালেন জমি

রাজ্য রাজনীতিতে বহরমপুরের আলাদা একটা পরিচিতি আছে তা অধীররঞ্জন চৌধুরীর দুর্গ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায়। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। কিন্তু এবারে সেই লোকসভা কেন্দ্রের ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। একুশের ভোটে এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১টিতে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে অধীর জিতেছিলেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। কিন্তু এখন সেই কেন্দ্রেই তৃণমূল শক্ত মাটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ২৪’র ভোটে যে এই আসন থেকে তৃণমূলের জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না সেটা বুঝেই এখন জোড়াফুলকে ভিন পথে ধাক্কা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কার্যত গভীর ষড়যন্ত্র রচনা অনেক আগেই শুরু হয়েছিল যা দলের কেউই ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারেননি। বিশেষ করে দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব। এখন দেখা যাচ্ছে সদস্য সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের জেতা পঞ্চায়েত সমিতি চলে যাচ্ছে বিরোধীদের দখলে। আর সেটাও দলেরই জেতা সদস্যদের বেইমানির জন্য। তাঁরা দলের পিছনে ছুরি মেরে বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের(INC) হাতে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন বা এদের সমর্থনে নিজেরা ক্ষমতা দখল করছেন।

আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জন্ম নয়া জঙ্গি সংগঠনের

তৃণমূলের টিকিটেই জেতা পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্যদের একাংশের দলের প্রতি এই বেইমানিউ সবার আগে নজর আসে বেলডাঙা-১ ব্লকে। সেখানে ৩৯টি আসনের মধ্যে ২২টিতেই জয়ী হয় তৃণমূলের প্রার্থীরা। ১৭টি আসন গিয়েছিল বিরোধীদের দখলে। ওই ১৭জনের মধ্যে ১১জন কংগ্রেসের, ৪জন সিপিএমের এবং ২জন বিজেপির। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের ৭জন সেখানে দলের অফিশিয়াল প্রার্থীকে সমর্থন না জানিয়ে সমর্থন দেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীদের। তার জেরেই জেতা সমিতি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। আবার বড়ওয়ানে পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২১টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৯টি, বিজেপি ৭টি ও সিপিএম ১টি আসন পায়। পরে কংগ্রেসের এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শাসক দলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২। কিন্তু তারপরেও সেখানে তৃণমূল বোর্ড গড়তে পারেনি। দলের অফিসিয়াল প্রার্থীকে হারিয়ে সেখানে ক্রশ ভোটিং করেন ৭জন জয়ী তৃণমূল সদস্য। তার জেরেই সেই সমিতিও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। আবার ভরতপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৭টি। কংগ্রেস ৫টি ও ১টি আসন পেয়েছে নির্দল। কিন্তু এখন তৃণমূলেরই ১০ জন জয়ী সদস্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আর তাই এই বোর্ডও তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘শাঁখা-পলার মাহাত্ম্য জানেন? ওসব কী জানেন?’, মোদিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

মনিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানকে চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন গ্রামবাসীরা

‘বলেছিলাম ২টো আসন ছেড়ে দিচ্ছি, সিপিএমের হাত ধরবেন না, শুনলই না’, আক্ষেপ মমতার

হাসনাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় সিবিআই অথবা এনএসজি তদন্ত চাইছে বিজেপি পরিবার

রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কমিশনকে নালিশ সুকান্তের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর