এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কপালে সেলাই নিয়েই গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী, ঘোষণা ক্ষতিপূরণের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ছেলেরা ভাল না থাকলে মা কী ভাল থাকে? ছেলেদের বিপদের দিনে মা কী ঘরে বসে থাকতে পারে? বাংলার মা-ও তাই কপালে সেলাই নিয়েই অসুস্থ শরীর নিয়েই সোম সকালে চলে এলেন কলকাতার(Kolkata) গার্ডেনরিচে(Gardenreach) বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনাস্থলে। তার আগেই অবশ্য তিনি ট্যুইট করে ঘটনার জন্য দঃখপ্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র এবং এলাকার তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু(Sujit Basu) এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ তথা কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারম্যান মালা রায়।

এদিন সকালেই গার্ডেনরিচের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমি তাতে শোকাহত। আমাদের মেয়র, দমকলমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সেক্রেটারিয়েট, সিভিক পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল সারা রাত ধরে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মৃতদের পরিবারকে এবং আহতদের আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেই আছি। উদ্ধারকাজ চলছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্যত অবাক হয়ে যান। কেননা দুর্ঘটনাস্থলটি এতটাই ঘিঞ্জি এলাকায় যে সেখানে না ক্রেন ঢুকতে পারবে, না কোনও অ্যাম্বুলেন্স সেখানে ঢুকতে পারবে। সেই কারণেই কলকাতা পুরনিগমের বিনা অনুমতিতে ভেঙে পড়া বহুতলটির নির্মাণ হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি দুর্ঘটনাস্থল অবধি পৌঁছাতেও পারেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ৪০০ মিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে যান। যাওয়ার পথে এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনাস্থলে আসায় আপ্লুত এলাকাবাসী।

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই বেআইনি নির্মীয়ামান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ২জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। তারপরেও এখনও পর্যন্ত আরও ৫জন ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকে আছেন বলেই এদিন দুর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যারা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের নিকটজনকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই ফিরহাদ সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, ‘বাম আমল থেকে এখানে বেআইনি নির্মাণ হয়ে আসছে। তখন বহুতল নির্মাণের জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে সমস্যা হত। বিএলআরও অফিসে গিয়ে জুতো ক্ষয়ে যেত। তাই নির্মাতারা বেআইনি পথ ধরতেন। কিন্তু এখন আমরা পদ্ধতি অনেক সহজ করে দিয়েছি। তা-ও কেন কেউ কেউ এই পথ ধরছেন, জানি না। আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে।’

ফিরহাদ ঘটনাস্থলে সারা রাত ছিলেন। তিনি ওই এলাকার বিধায়কও। তাঁর সঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও ছিলেন রাতে। ভাঙা বহুতলের কংক্রিটের চাঙড় সরিয়ে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে ২১ জন ছিলেন। ১৩ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১ জন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘এটা খুব ঘিঞ্জি এলাকা। মন্ত্রীরা সারা রাত এখানে ছিলেন। প্রোমোটারদের একাংশ বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি করেন। তার আগে ভাবা দরকার, আশপাশে যারা আছেন, তাঁদের যাতে ক্ষতি না হয়। আমি শুনলাম, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই বহুতলটি তৈরি করা হয়নি। এখন রমজান মাস চলছে। সকলে উপোস করে থাকেন। তা-ও সারা রাত এলাকার মানুষ উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর, দমকল, পুলিশ, কাউন্সিলর সারা রাত ধরে কাজ করেছেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

মন্ত্রী- বিধায়কদের জন্য সুখবর, মে মাসেই  পেতে চলেছেন বকেয়া-সহ বর্ধিত বেতন

হাইকোর্টেই বিক্ষোভের মুখে বিকাশ, শুনলেন ‘চাকরিখেকো’ শ্লোগান

কেন্দ্রের সরকারই থাকবে কিনা সন্দেহ, আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, হাসছে তামাম বাংলা

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর