নিজস্ব প্রতিনিধি: স্থিতিশীল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে সিটি স্ক্যানের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলেন। যদিও তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আগামী কয়েকদিনে কোনও রকম শারীরিক ধকল নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। দলনেত্রীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয় জেনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
এদিন বিকেলে রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনে গড়িয়াহাটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান শেষে গড়িয়াহাট চত্বরে জনসংযোগ সারেন তিনি। ওই কর্মসূচি শেষে কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছন। বাড়ি ফেরার পরেই প্রতিদিনের মতো ট্রেড মিলে এক্সারসাইজ শুরু করেন। আর তখনই পা পিছলে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। কপাল এবং নাক ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তড়িঘড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত আটটা নাগাদ উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ে গিয়ে মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রক্তক্ষরণ বন্ধে কপালে চারটির মতো সেলাই করা হয়। কোনও অভ্যন্তরীণ চোট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে রাতেই হুইল চেয়ারে চাপিয়ে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়। যদিও ওই পরীক্ষায় আশঙ্কাজনক কিছু ধরা পড়েনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্ঞান ফেরার পরেই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মমতাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চারটির মতো সেলাই হয়েছে। গোটা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা রয়েছে। সর্ব শক্তিমানের কৃপায় ও মানুষের ভালবাসায় আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়ার খবর জানতে পেরে এদিন রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও তিনি যখন হাসপাতালে পৌঁছন, তার আগেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে দু’জনের দেখা হয়নি।