এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আবাসন শিল্পে কাঁটা সরাতে ভূমি সংস্কার আইনে পরিবর্তন

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে বাংলার(Bengal) সামগ্রিক চিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন এ রাজ্যে বিনিয়োগ টানছে, তেমনই পরিকাঠামো উন্নয়নও রাজ্যের ভাবমূর্তিতে সদর্থক প্রভাব ফেলছে। তথ্যপ্রযুক্তি সহ পরিষেবা শিল্পও এই রাজ্যে যথেষ্ট এগিয়েছে। এগুলিই চাহিদা বাড়াচ্ছে এই রাজ্যের বুকে আবাসন শিল্পে(Housing Industry)। শুধু কলকাতাই(Kolkata) নয়, শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, খড়গপুর, মেদিনীপুর, হলদিয়া, বর্ধমান, ইংরেজবাজার সহ বৃহত্তর কলকাতা, হাওড়া-হুগলি শিল্পাঞ্চল, রাজ্যের বেশির ভাগ জেলা সদর, মহকুমা শহর এবং কিছু বড় শহরেও দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফ্ল্যাট ও আবাসানের চাহিদাও। মমতার সরকারও সেই আবাসন শিল্পে জোয়ার আনতে আগেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। এবার লক্ষ্য রাজ্যের ভূমি সংস্কার আইনে(Land Reforms Act) সামান্য পরিবর্তন যাতে শহর বা শহর লাগোয়া এলাকায় বর্গাদার আইনের জেরে আবাসন শিল্পের বিকাশে কোনও সমস্যা আর না থাকে। নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

আবাসন বিষয়ক বেশ কিছু উপদেষ্টা সংস্থা এবং আবাসন নির্মাতাদের সংগঠনের সমীক্ষা বলছে, গোটা দেশের মধ্যে এখন কলকাতায় আবাসনের দাম বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি। এখনই সঙ্গে সমীক্ষায় উঠে এসেছে কলকাতা সহ বাংলার বড় বড় শহরগুলিতে জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে আবাসনের চাহিদাও। সেই চাহিদা লক্ষ্য করেই দেশের বড় বড় আবাসন শিল্পের সংস্থাগুলি এখন বাংলাকে যেমন তাঁদের Destination করে তুলছে তেমনি নজরকাড়া ভাবে কলকাতা ও বৃহত্তর কলকাতায় আবাসন শিল্পে বিনিয়োগে আরও বেশি করে এগিয়ে আসছে নানান আন্তর্জাতিক আবাসন নির্মাণকারী সংস্থায়। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চাইছে না জমি জটে ফেঁসে সেই বিনিয়োগ ফিরে যাক। কেননা দেখা যাচ্ছে, বহু জায়গায় বড় বড় জমির মাঝে ছোট একটি ফালি বর্গা জমি রয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানে প্রকল্পের কাজ আটকে যাচ্ছে। অনেক সময় সেই ছোট ফালি জমির বর্গাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার খুঁজে পাওয়া গেলেও নিয়ম না-থাকায় তাঁকে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে কাজও শুরু করা যায় না। এই ছবিটাই বদলাতে উদ্যোগী হচ্ছে মমতার সরকার।

শুধুমাত্র শিল্পস্থাপনের জন্য বর্গাদারদের জমি ব্যবহার করার আইন রয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্গাদারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট জমিতে শিল্পস্থাপনের ছাড়পত্র পাওয়া যায়। শুধুমাত্র শিল্পের জন্য বর্গাদারের জমি নিলে ১৯৫৫ সালের রাজ্য ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী তাঁদের ছ’বছরের আয়ের সমতুল অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হয়। এই নিয়ম রাজ্যের শহরাঞ্চলে আবাসন শিল্পের জন্য চালু করা যায় কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। কোভিডের পরে রাজ্যের আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে পদক্ষেপ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি স্ট্যাম্প ডিউটিতে দু’শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী যা বিপুল জনপ্রিয়তা পায় ও সেই সুবাদে রাজ্যের কোষাগারেও বাড়তি কয়েক কোটি টাকা ঢুকেছে। সেই আর্থিক সুরাহা প্রকল্প চালু আছে এখনও। মধ্যবিত্তদের একটা বড় অংশ সেই সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এখন কলকাতা সহ রাজ্যজুড়েই যে সব নতুন ফ্ল্যাট বা আবাসন তৈরি হয়েছে তার বৃহত্তম জায়গা দখলে রেখেছে মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাটগুলিই। অর্থাৎ কম বাজেটের ফ্ল্যাটের জোগান ও চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে বাংলার বুকে। এখন যদি জমি জটের সমস্যা কেটে যায় তাহলে নিঃসন্দেহে বাংলাই হয়ে উঠবে দেশের আবাসন শিল্পে আবাসন নির্মাণকারী দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে অন্যতম Hotspot।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেশনে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের বাধ্যতামূলক ব্যবহার রুখতে হাইকোর্টে মামলা

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’ রাজ্যপাল বোস

অভিজিতের এফআইআর খারিজের আর্জি শুনবেন বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষ

‘সত্যের জয় হল’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন জীবনকৃষ্ণ সাহা

বেআইনি নির্মাণে মিলবে না পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা, নয়া নির্দেশ কলকাতা পুরসভার  

রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর