নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আগের সরকারকে রাজ্যবাসী বলত লোডশেডিং সরকার। আর এখন লোডশেডিং শব্দটাই অতীত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে এখন আর কর্মদিবস নষ্ট হয় না। কেননা বাংলায় বনধ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কেউ বনধ ডাকলেও মানুষ আর তাতে সাড়া দেন না। বাংলার সূর্যোদয় হচ্ছে। প্রতি সকালে বাংলার নতুন উদয় হচ্ছে। বাংলার সরকার ক্রমশ এগোচ্ছে। একশো দিনের কাজে আমরা দেশের সেরা। সামাজিক সুরক্ষায় বাংলা দেশের মধ্যে সেরা। ধান উৎপাদন থেকে ই-টেন্ডারে বাংলাই দেশের মধ্যে প্রথম। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণেও আমরা এক নম্বরে। অতিমারি পরিস্থিতিতেও বাংলার জিডিপি বৃদ্ধির হার দেশের থেকেও বেশি। আমরা বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছি। তাই নিশ্চিন্তে বাংলায় বিনিয়োগ(Invest) করুন। বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন।’ বক্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বুধবার কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন হলে ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের(Bengal Global Business Summit) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে উঠে এভাবেই বদলে যাওয়া বাংলাকে দেশবিদেশের শিল্পপতিদের(Industrialist) সামনে হাজির করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এটা খুব ঠিক কথা যে বাম জমানায় এ রাজ্যের যে ক্ষতিসাধন হয়েছিল তার থেকে মমতা বংলাকে অনেকটাই বার করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে বাংলার বুকে কর্মনাশা বনধকে তিনি কার্যত মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিতে অনেকতাই সফল হয়েছেন। রাজ্যের শাসক দল হিসাবে তৃণমূল এখন আর বনধ না ডাকলেও বিরোধী দলগুলি বনধ এখনও ডাকে। যদিও আমজনতা আর বনধে সাড়া দেন না। সেই সঙ্গে বিরোধীদের হাজারো অপপ্রয়াস, মিথ্যা প্রচার, বদনাম এসবকে পিছনে ফেলে মমতা বাংলাকে এগিয়ে দিয়েছে শিক্ষা থেকে শিল্প সব ক্ষেত্রেই। সেই কারণেই গর্বিত অভিভাবক হিসাবে এদিন মমতা জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পুরোপুরি বিনামূল্য। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সবাই বিনামূল্য চিকিৎসা পান। আমাদের দল মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। তাই আমাদের নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি ৩৮ শতাংশ। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং ভারী শিল্পে এগিয়ে এই রাজ্য। বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ শতাংশ। কৃষকদের দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে। বাংলায় ২০০-র বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে। কেননা আমরা বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছি।’