নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। Enforcement Directorate বা ED’র আধিকারিকেরাও তাঁকে ১১ ঘন্টা ধরে অজস্র প্রশ্ন করেছেন। এবার সেই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন যুব তৃণমূলের(TMC) নেত্রী তথা টলি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ(Sayani Ghosh)। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সামনে আসে কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর যোগাযোগের বিষয়টি। সেই সূত্রেই শুক্রবার সল্টলেকের CGO Complex-এ সায়নীকে তাঁদের কার্যালয়ে জেরার জন্য ঢেকে পাঠিয়েছিল ED। সায়নী গিয়েওছিলেন এবং ১১ ঘন্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে তিনি হাসি মুখে বেড়িয়েও আসেন। শনি সকালে সেই সায়নী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন, ‘দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। আর এর বিরুদ্ধে লড়াই তো করতেই হবে। নানারকম পরিস্থিতির মধ্যেও পড়তে হবে। তবে এভাবেই লড়ব। এই লড়াইয়ে দল আমার পাশে আছে। আমি প্রচারেও যাব। মমতাদি(Mamata Banerjee) আমার ফোনের ওয়ালপেপারে(Wallpaper) নেই, মনের ওয়ালপেপারে আছেন।’
আরও পড়ুন নেতাদের মাথা চেয়ে পোস্টার পড়ল বেলপাহাড়িতে
এদিকে ED সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার তাঁকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছে। কেননা তাঁর দুটি ফ্ল্যাটের দাম বাবদ টাকার উৎস ও গাড়ি কেনার টাকার উৎস তাঁরা জানতে চান। সায়নীর একটি পৈতৃক বাড়ি আছে। তার বাইরে তিনি কলকাতার গলফগ্রীন এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। সেটি তাঁর নিজের নামে। অন্যটি তাঁর মায়ের নামে। দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। ED’র আধিকারিকদের কাছে সায়নী দাবি করেছেন, তিনি কুন্তলের কাছ থেকে কোনওদিন কোনও টাকাপয়সা নেননি। নিজে ঋণ নিয়ে দু’টি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাটটির জন্য ৬০ লক্ষ টাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেন সায়নী। বাকি ২০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে নগদে দেন সায়নী। তাঁর ও মায়ের সঞ্চিত অর্থ থেকে ওই নগদ টাকা জমা দিয়েছেন বলেই সায়নী দাবি করেন।
আরও পড়ুন বউয়ের মাথা ফাটিয়ে, শাশুড়ির হাত ভেঙে গ্রেফতার কনস্টেবল
সায়নীর এই দাবি সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখতে আগামী বুধবার তাঁকে ফের ED’র কার্যালয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে ঋণ-সহ যাবতীয় নথি তলব করা হয়েছে। ওই নথি নিয়ে তিনি সশরীরে হাজিরা দিতে পারেন। অথবা অন্য কারও মাধ্যমেও তথ্য ED’র আধিকারিকদের কাছে পাঠাতে পারেন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য নেওয়া ঋণের EMI প্রত্যেক মাসে কীভাবে মেটানো হচ্ছে সে ব্যাপারে নথি পরীক্ষা করতে চান আধিকারিকরা। উল্লেখ্য ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে ED’র কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে সায়নী সাংবাদিকদের জানান, ED’র আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করেছেন। প্রশ্নের উত্তর পেতে তাঁর ওপর কোনও চাপ তৈরি করা হয়নি। আগামী বুধবার তাঁর কাছ থেকে ঋণ-সহ নানা নথি তলব করা হয়েছে। তিনি সমস্ত কাগজপত্র তদন্তকারীদের হাতে তুলেও দেবেন।