নিজস্ব প্রতিনিধি: রিজওয়ানুর রহমান(Rizwanur Rahaman)। ছোট্ট এক নাম। কিন্তু এই নামটাই কলকাতা(Kolkata) সহ তামাম বাংলাকে(Bengal) নাড়িয়ে দিয়েছিল একসময়। ভালবাসার করুণ পরিণতির নাম আজও রিজওয়ানুর রহমান। সেইদিন সেই জ্বলন্ত সময়ে বাংলার অগ্নিকন্যা ছুটে গিয়েছিলেন পার্ক সার্কাসে তাঁর বাড়িতে। রিজওয়ানুরের মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁদের পাশে থাকবেন তিনি। দেখ দেখতে পার হয়ে গিয়েছে পুরো এক দশক। অগ্নিকন্যা কিন্তু আজও বদলাননি। তাই মনে রেখেছেন রিজওয়ানুরকে। মনে রেখেছেন তাঁর মা কিশওয়ার জাহানকেও(Kishwar Jahan)। ঈদের সকালে তাই অগ্নিকন্যা চলে গিয়েছেন রিজওয়ানুরের বাড়িতে। বছর বছর ঈদের দিনে যেমনটি যান তিনি তেমনই এইবছরও তাঁর পা পড়ল রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) ঈদের সকালে কাছে পেয়ে খুশি হন সন্তানহারা ৭৬ বছরের কিশওয়ার জাহান।
আরও পড়ুন ঈদের সকালে পার্ক সার্কাসে কচিকাঁচাদের মাঝে মমতা
প্রায় দেড় দশক আগে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে ছেলে মাকে বলে গিয়েছিল, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরব। রহস্যজনক ভাবে পাতিপুকুর রেললাইনে উদ্ধার হয় ছেলের দেহ। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে ইনসাফ চেয়ে লড়াই করেছেন কিশওয়ার জাহান। সেই লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। বার বার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিরোধী দলনেত্রী হিসাবে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও। এদিন সকালে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পার্কসার্কাসে রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবুল সুপ্রিয়। রিজওয়ানুরের মা-সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রিজওয়ানুরের স্মৃতিতে তৈরি বেদিতে মাল্যদান করেন। ২০০৭ সালে রিজওয়ানুরের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানুর বর্তমানে চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর পরিবারের খবরাখবর নিয়মিতই রাখেন মমতা। গত বছরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রিজওয়ানুরের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তার হেরফের হল না।