নিজস্ব প্রতিনিধি: শিল্পীর পাশে শিল্পী। গায়কের পাশে গায়িকা। কবীর সুমনকে(Kabir Suman) দেখতে হাসপাতালেই চলে এলেন মমতা। ৫ দিনের জেলা সফর শেষ করে এদিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)। কথা ছিল এদিন নদিয়ার শান্তিপুরে সভা শেষ করে হেলিকপ্টারে হাওড়ার ডুমুরজলায় চলে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সোজা নবান্নে। কিন্তু নিজের জেলা সফরের মাঝেই তিনি খবর পেয়েছিলেন, গায়ক কবীর সুমন অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Calcutta Medical College and Hospital)। এই সুমনই একসময় তৃণমূলের সাংসদ(TMC Former MP) ছিলেন। মমতা তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন যাদবপুর থেকে। যদিও সেই সঙ্গত খুব একটা সুখের ছিল না দুইজনের কাছেই। তবুও দুইয়ের মধ্যে যোগাযোগ থেকেই গিয়েছিল। আর এদিন তো সব দূরত্ব দূরে সরিয়ে রেখে মমতা পাশে দাঁড়ালেন সুমনের কাছে এসে।
এদিন শান্তিপুর থেকে হাওড়ায় হেলিকপ্টারে করে ফেরার কথা ছিল মমতার। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে আকাশ পথে কলকাতা ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। তাই সড়ক পথেই কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপুর থেকে সোজা চলে আসেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কেননা সেখানেই ভর্তি রয়েছেন সুমন। তাঁর প্রাথমিক সমস্যা ফুসফুসের। সেই সঙ্গে সমস্যা ধরা পড়েছে হৃদযন্ত্রেও। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ভর্তি আছেন সুমন। সেখানেই হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাসও। সুমনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। এমনকী ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা। সুমনের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড(Medical Board)। অক্সিজেনও দেওয়া হচ্ছে। গত দুদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারপরও এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধাণ ডা. সৌমিত্র ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে বাড়ির ফেরার আবদার জানান বর্ষীয়ান শিল্পী। মুখ্যমন্ত্রী সেই নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন এদিন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘উনি এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। তবে আরও ১০ দিন ভর্তি থাকতে হবে তাঁকে। উনি আমায় দেখে জয় বাংলা বলেন, আর আমিও জয় বাংলা বলি। তারপর বাড়ি যাব বাড়ি যাব করছিল। হার্টের সমস্যা আছে। ফুসফুসেও জল জমেছে। ওষুধের মাধ্যমে জল বের করার চেষ্টা চলছে। অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, তবে এখনও শ্বাসকষ্ট আছে।’