এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সাধনস্মৃতিতেই মন ভারাক্রান্ত মানিকতলার

নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিকতলার আজ মন খারাপ। ঘরের ছেলে চলে গেল। রয়ে গেল তাঁর স্মৃতি। রয়ে গেল তাঁর কাজ। রবি সকালেই প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে(Sadhan Pandey)। সোমবার দুপুরে উত্তর কলকাতার নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। মানিকতলা(Maniktala) ও পূর্বতন বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই ৯বার জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন সাধনবাবু। প্রথমদিকে কংগ্রেস(Indian National Congress) ও পরে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) হয়ে। সেই কারণে নিজেই বলতেন, ‘কংগ্রেস আমার মা, মমতা আমার বোন।’ তাই তাঁর স্মৃতি রোমন্থণ মানেই ইতিহাসের পাতায় ডুব দেওয়া। এদিন রাজ্য বিধানসভায় সাধনবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, ‘সাধন পাণ্ডের মতো মন্ত্রীর মৃত্যু রাজ্য সরকারের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি৷ রাজনৈতিক দিক থেকেও তৃণমূল কংগ্রেসে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল৷ রাজনৈতিক নেতা ও মানুষ সাধন পাণ্ডের অভাব তৃণমূল সবসময় বোধ করবে৷’ 

আবার সব্যচাসী দত্ত(Sabyasachi Dutta) জানিয়েছেন, ‘সাধনদা আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন। উত্তর কলকাতায় সুদীপদা ছাড়া আর কোনও সিনিয়র রইলেন না। সিপিএমের সময় সাধনদা নেহরু যুব কল্যাণ কেন্দ্র যখন করতেন তখন থেকে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ।’ যে পরেশ পালের(Paresh Pal) সঙ্গে সাধনবাবুর বিরোধ নানা সময়ে সংবাদের শিরোনামে এসেছে সেই পরেশবাবু এদিন জানিয়েছেন, ‘সাধনদার মৃত্যুতে দল ও মানিকতলার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হল। মানিকতলার স্তম্ভ ছিলেন। বাংলার সকলেই তাঁকে জানতেন। আমরা সকলেই শোকাহত। রাজনীতিতে বহু রকমের মতবিরোধ, মতান্তর, মনান্তর থাকে। আমার সঙ্গে মতান্তর ছিল, মনান্তর নেই। সাধনদার মৃত্যু আমাদের কাছে ভীষণ ক্ষতি।’ প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে পাড়ায় পাড়ায়, দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই প্রথম মানুষ দেখল, ক্রেতা সুরক্ষা বলেও একটা দফতর আছে, আর তা কাজও করে। চণ্ডী লাহিড়ীর কার্টুনকে হাতিয়ার করে হোর্ডিং ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছিল কলকাতা শহর। প্রতি ব্যানারেই বার্তা, সব ক্রেতার পাশেই আছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এই ছিল সাধনের ‘অসাধ্য সাধন’।

মানিকতলা এলাকায় সাধনবাবু কতটা জনপ্রিয় ছিলেন, সেখানকার মানুষের সঙ্গে তাঁর কতটা যোগাযোগ আছে, সেখানকার বাসিন্দারা সাধনবাবুর ওপর কতটা নির্ভরশীল ছিলেন সেটা বোঝা যায় ২০১১ সালের বিধানসভা(State Assembly) নির্বাচনের সময়কার ঘটনায়। সেই সময় কিডনির অসুখে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সাধনবাবু। তবুও অসুস্থ শরীর নিয়ে এসি গাড়িতে বিধানসভা ভোটে প্রচার করেছেন তিনি। সেই সময় গাড়ি থেকে নামতেই পারতেন না তিনি। অনেকেই তাই সেই সময়ে ধরেই নিয়েছিল, সাধনবাবুর হার নিশ্চিত। কিন্তু ফলাফল হয় ঠিক তার উল্টো। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সেই সাধনবাবুই। এই জয়ের রহস্য ছিল তাঁর ব্যক্তিগত সংযোগ। নেতা না, অসুস্থ অভিভাবককে সেদিন ভোট বৈতরণী পার করিয়ে দিয়ে জয়ের মুখ দেখাতে সেদিন মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন মানিকতলার বহু বাসিন্দা। বিশেষত নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষেরা। কেননা সাধনবাবুর সঙ্গে তাঁদের ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ের সম্পর্ক। সেই সাধনবাবুরকে হারিয়ে আজ চোখের জল ফেলছে মানিকতলা। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর