নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বাকি পুরসভা গুলির ভোটের দিন জানাতে বলা হয়েছিল। সেই বিষয়ের শুনানিতে, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সবকটি পুরসভায় ভোট করা হবে। করোনার জন্য ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এত দেরীতে ভোট করানো হবে। মূলত ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হবে বাকি পুরসভা গুলির যেহেতু রাজ্যে ইভিএম কম।
শুধু, কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট কেন? এই বিষয়ে বিজেপির তরফে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। যাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায় এই দুই শহরে করোনাড় টিকা প্রাপকদের হার বেশি, তাই দ্রুত ভোট করাচ্ছে কমিশন। কিন্তু হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথিকীকরনের বিলে রাজ্যপাল সই না করায় গঙ্গার ওপারের জেলায় পিছিয়েছে ভোট। শুধুমাত্র কলকাতাতেই ১৯ ডিসেম্বর ভোট হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাকি পুরসভার ভোট কবে? যার ভিত্তিতে কমিশন সোমবার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সবকটি পুরসভায় ভোট করা হবে। করোনার জন্য ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এত দেরীতে ভোট করানো হবে। মূলত ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হবে বাকি পুরসভা গুলির। যেহেতু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএম কম রয়েছে তাই একাধিক দফায় ভোট করাতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। কলকাতা ভোটে ব্যবহার করা হবে ৭ হাজার ২১০টি ইভিএম। নির্ধারিত দিনে গণনা না হলে হাতে থাকবে ৮ হাজার ৪৭৭ ইভিএম। তাই দেরীতে বাকি পুরসভার ভোট করানো হবে। আবার মার্চ থেকে এপ্রিলে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক সহ একাধিক পরীক্ষা ও উৎসবের ব্যাপার আছে। তাই দেরীতেই পুরভোট করানো হবে।
তাই বাকি ১১১ টি পুরসভার ভোটে একাধিক কারণ রয়েছে এখনই না করার। সময় বুঝেই ধীরে ধীরে হবে বাকি পুরসভার ভোট।