নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট আসছে। তার আগে কিছু করে দেখাতে হবে। নাহলে বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। আর সেই কিছু করে দেখাতে হবে বাংলার মতো করে। হ্যাঁ, বাংলা মডেলকে(Bengal Model) অনুসরণ করার কথা বলছে খোদ কেন্দ্র সরকার। দেশে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলাকেই মডেল হিসাবে মেনে চলতে দেশের একাধিক ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যকে(Double Engine States) নির্দেশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। সেই নিরররদেশ দেওয়া হয়েছে, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও মহারাষ্ট্রের মতো ডাবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিকে। নজরে Rastriya Krishi Vikash Yojna বা RKVY।
আরও পড়ুন ১০ বছরে খরচ ১৬ হাজার কোটি, মডেল মমতার কন্যাশ্রী
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লির কৃষিভবনে সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন কৃষিমন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ওই বৈঠকে মূলত RKVY প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়া এবং বরাদ্দ অর্থ খরচ না করতে পারা নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতিটি রাজ্য তাদের কাজকর্মের ওপর Power Point Presentation দেয়। সূত্রের খবর বাংলার রিপোর্ট সেখানে সব থেকে ভাল থাকায় কৃষিমন্ত্রকের সচিব মনোজ আহুজা সহ অন্যান্য পদস্থ কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা রীতিমত উঠতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বাংলা এই খাতে পাওয়া টাকা যথাযথ খরচ করেছে এবং জমা পড়েছে Utilization Certificate বা UC সহ হিসেব সংক্রান্ত সমস্ত নথি। ফলে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ কিস্তি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা। বাংলা ছাড়া এই টাকা পেয়েছে একমাত্র তামিলনাড়ু। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্যগুলি আগের টাকা খরচ করতেই পারেনি। ফলে পায়নি এই দুই কিস্তির টাকা।
আরও পড়ুন ‘আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসির ব্যবস্থা করুন’, আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে
এরপরেই মনোজ আহুজা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্যগুলির আধিকারিকদের জানিয়ে দেন, RKVY’র কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং তা করতে হবে বাংলা মডেলকে অনুসরণ করেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজকে উদাহরণ বা মডেল হিসেবে সামনে রেখে প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বৈঠকে একাধিকবার বলেন আহুজা থেকে শুরু করে অনান্য পদস্থ কর্তারা। জানা গিয়েছে, কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত এই প্রকল্পের ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র, ৪০ শতাংশ রাজ্য। বাংলায় রাজ্যে সরকার কৃষিদফতরকে মাথায় রেখে প্রকল্প রূপায়ণ করে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, পঞ্চায়েত, মৎস্য, সমবায় ইত্যাদি দফতর। একটি কিস্তির ৫০ শতাংশ টাকা খরচ হলে তবেই পরবর্তী কিস্তির টাকা পাওয়া যায়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের টাকা সময়মতো খরচ করার ফলেই চলতি বছরের প্রথম কিস্তির ৪২.৯০ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এর ৫০ শতাংশ খরচ নিশ্চিত করে আগস্টেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য আবেদন করতে চলেছে রাজ্য।
