এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাজিরা বন্যা সরকারের খাতায়, খতিয়ান তুলে ধরল নবান্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা DA’র দাবিতে শুক্রবার রাজ্য প্রশাসনকে অচল করে দেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) বামপন্থী সংগঠনগুলি। কিন্তু ধর্মঘটের দিন রাজ্য সচল রইল না অচল, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি করতে শোনা গেল বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন ও তৃণমূলপন্থী কর্মী সংগঠনগুলির মধ্যে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও নিজস্ব দাবি তুলে ধরা হয়েছে পরিসংখ্যান সহযোগে। আর সেখানেই বোঝা যাচ্ছে এদিন ধর্মঘটীরা কার্যত দুই নৌকায় পা দিয়ে চলেছেন। বেশিরভাগ কর্মী রাজ্য সরকারের ৪ দফা হাজিরার খাতায় সই করেছেন আবার বাকি সময়টা কাজ না করে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। এটা শুধু কলকাতার ছবি নয়, কার্যত সারা বাংলার ছবি।

আরও পড়ুন SSC’র সুপারিশপত্র ছাড়াই Group-C’র চাকরি ৫৭জনের

এদিনের ধর্মঘট ডাকার নেপথ্যে ছিল বামপন্থী কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তাঁদের দাবি, শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে কাজকর্ম ‘স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে’। সংগঠনের অন্যতম নেতা বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী ধর্মঘটের প্রভাব প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘প্রত্যাশামতোই কর্মচারীবন্ধুরা রাজ্য প্রশাসনকে অচল করে দিয়েছেন। শুধু কলকাতা নয়, সারা রাজ্যেই এই ধর্মঘট সফল।’ অন্য দিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, সরকারি অফিসগুলিতে ধর্মঘটের ‘বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি’। ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ধর্মঘটের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি রাজ্যে। নবান্নে অন্য দিনের তুলনায় হাজিরার পরিমাণ বেশি। রাজ্যের প্রধান সচিবালয়কেই তো অচল করতে পারলেন না ধর্মঘটীরা। বিকাশ ভবন, জলসম্পদ ভবনের মতো বিধাননগরে অবস্থিত সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে উপস্থিতির হার অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।’

আরও পড়ুন আদানিকাণ্ডে LIC থেকে মুখ ফেরাচ্ছে মধ্যবিত্ত, ৭ হাজার কোটির ক্ষতি

দুই তরফের এই দাবিদাওয়ার মধ্যে বিকাল ৫টা নাগাদ নবান্ন(Nabanna) থেকে প্রকাশ করা হয়ে কোন জেলায় কত শতাংশ কর্মী হাজিরা দিয়েছে তার তালিকা(Attendence Sheet On Percentage)। একই সঙ্গে দফতর ধরে ধরে পৃথক একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম তালিকায় অর্থাৎ জেলাওয়াড়ি(Districtwise) হিসাবে দেখা যাচ্ছে উপস্থিতিত হারে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে কালিম্পং জেলা। সেখানে হাজিরা ১০০ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর দিনাজপুর। সেখানে হাজিরা ৯৯ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের বেশি হাজিরা দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, হাওড়া ও মালদা জেলায়। ৯০ শতাংশের বেশি হাজিরা রয়েছে বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলায়। পুরুলিয়া হাজিরার হার ৯০ শতাংশ। ৯০ শতাংশের নীচে হাজিরার হার দার্জিলিং, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়।

আরও পড়ুন Group-C’র 842 জনের চাকরি বাতিল করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

দফতরওয়াড়ি(Departmentwise) যে হাজিরা তালিকা নবান্ন সামনে এনেছে তাতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষা দফতরে হাজিরা সব থেকে বেশি হয়েছে, ৯৭ শতাংশেরও বেশি। কাছাকাছি রয়েছে বিদ্যুৎ, কর্মীবর্গ ও সংস্কার এবং পর্যটন দফতর। সেখানে হাজিরা ৯৬ শতাংশেরও বেশি। ৯০ শতাংশের বেশি হাজিরা হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, পরিবেশ, আবাসন, সমাজকল্যাণ, সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতর, কৃষি ও অর্থ দফতরে। ৯০ শতাংশের কম হাজিরা লক্ষ্য করা গিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, ভিজিলেন্স কমিশন, বন, সেচ ও জলপথ, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরীর মতো দফতরে। সব থেকে কম হাজিরা লক্ষ্য করা গিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে, মাত্র ৪১ শতাংশ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

গাছে জল দিতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, বাগুইহাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা

বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, পুরুলিয়াতে শিলা বৃষ্টি শুরু

সুপ্রিম কোর্টে হল না চাকরিহারাদের মামলার শুনানি, সম্ভাবনা আগামিকাল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর