এই মুহূর্তে

‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল’, নারী সুরক্ষা নিয়ে মমতাকে ‘জ্ঞান’ অপর্ণা সেনের  

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’। আর এই কথার প্রকৃত উদাহরণ হলেন অপর্ণা সেনদের মতো বাংলার ‘স্বঘোষিত’ বুদ্ধিজীবীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কীভাবে অপদস্থ করা যায়, সব সময় সেই ছল খুঁজে বেড়ান সিপিএম ঘনিষ্ঠ অপর্ণা ও তার স্যাঙাত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভাবমূর্তি কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টার পর ফের আসরে নেমেছেন ওই গোষ্ঠী। এবার নারী সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কী-কী করা উচিত তা নিয়ে অনাহুতের মতো জ্ঞান দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বিষয়ে নবান্নের এক আমলা খানিকটা ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘অপর্ণা সেনদের কীভাবে অভিনয় করা উচিত তা নিয়ে কী প্রশাসনিক আধিকারিকরা জ্ঞান দেন। তাহলে ওঁদের উচিত নিজেদের গণ্ডি না টপকান। নারী সুরক্ষার বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দিন না।’

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজ্যে নারী নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখেছে সদ্য গজিয়ে ওঠা  নাগরিক চেতনা মঞ্চ নামে এক সংগঠন। যে সংগঠনে রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জহর সরকারের মতো কট্টর তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী এবং সিপিএম ঘনিষ্ঠরা। মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন তা বঙ্গবাসীকে জানাতে প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনেরও আয়োজন করেছিলেন স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবিরা। সাংবাদিক সম্মেলনে অপর্ণা সেন দাবি করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ নারীদের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করা হয়। কিন্তু ধারণা এবং বাস্তবের মধ্যে ফারাক রয়েছে।’

আরজি কর নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপাকে ফেলতে বাংলার যে সমস্ত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমে গলার শিরা ফুলিয়ে কাঁদুনি গেয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলেন অপর্ণা সেন। এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটার মতো ফের আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অপর্ণা। বলেন, ‘আরজি কর তো প্রথম বা শেষ নয়, তার আগে-পরেও বহু ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমরা সকলেই জানি। আমাদের বিশ্বাস, প্রশাসন আমাদের পাশে থাকলে এ রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা বলছি  প্রশাসন যেন নাগরিক সমাজের দাবিগুলো খতিয়ে দেখে।’

অপর্ণা সেনরা নারী সুরক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখার অনেক আগেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মহিলা সুরক্ষায়  ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে রয়েছে বিশেষ ‘উইনার্স’ বাহিনী।  রাজ্য ও  কলকাতা পুলিশের এই বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চষে বেড়ায় শহর কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। শুধু তাই নয় মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । এই কর্মসূচির মাধ্যমে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেল সহ অন্যান্য জায়গায় কর্মরত মহিলাদের সুরক্ষা দিয়ে  থাকে   রাজ্য। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমে ফের জেলা সফরে মমতা, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে

বঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, জেলায় কুয়াশার প্রভাব থাকবে

বিগবস ১৮-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে সলমানের সঙ্গে সঞ্চালনায় থাকছেন আমির-অক্ষয়

মানিকতলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাবঘরে একাধিকবার ধর্ষণ যুবতীকে

সইফ আলি খানকে দেখতে হাসপাতালে শাকিব খান, ছবি ভাইরাল

তরুণ ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু, এসএসকেএমে বিক্ষোভ পরিবারের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর