এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বাস্থ্যসাথী হাতে আর নয় যখন তখন ভেলোর ছুট, আসছে নয়া বিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার সেটারই বাস্তবায়ন ঘটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Sasthasathi Card) হাতে যখন তখন নিজের খুশি মতো ভেলোরে ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজে(Vellore Christen Medical College and Hospital) চিকিৎসা করাতে যাওয়া যাবে না। পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যে চিকিৎসা অমিল, শুধুমাত্র তার জন্যই দক্ষিণ ভারতের এই স্বনামধন্য হাসপাতালে যাওয়া যাবে আর সেটাই রাজ্য সরকারের অনুমতি স্বাপেক্ষে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্যসাথীর অনলাইন পোর্টালেই(Portal) ভেলোর সংক্রান্ত এই নতুন নিয়মকানুন জানিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এবার থেকে ওই পোর্টালেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করানোর জন্য। স্বাস্থ্যদফতরের চিকিৎসকরা সেই আবেদন খতিয়ে দেখবেন। যদি দেখা যায়, আবেদনের সারবত্তা আছে, সত্যিই পশ্চিমবঙ্গে সেই নির্দিষ্ট ধরনের চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই, তবেই ভেলোরে চিকিৎসা করানোর অনুমতি মিলবে। অন্যথা নয়। 

রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হওয়ার পরে সেই কার্ডের মারফত যাতে বাংলার মানুষ বিনামূল্যে ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করাতে পারে তার জন্য ওই হাসপাতালের সঙ্গে  বছর দুই আগে চুক্তি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাংলার বুকে সরকারি হাসপাতালে যে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে সেই চিকিৎসা নেওয়ার জন্যই অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে নিয়ে ভেলোর ছুটছেন। আর তার জেরে প্রচুর টাকা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নজর আসে। তার জেরেই কিছুদিন আগে তিনি জানান, ‘বাংলায় ভালো চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে। তারপরও বহু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ভেলোরে যাচ্ছেন। আমরা চাই স্বাস্থ্যসাথীর টাকা বাংলাতেই থাকুক।’ কার্যত মুখ্যমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেই মতন এবার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।  

স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত হয় ভেলোর ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বিনামূল্যে সেখানে চিকিৎসা দিতে রাজ্য সরকারের প্রথম দিকে মাসে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা খরচ হলেও, সময় যত বাড়ে, খরচও ততই বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রতিমাসে শুধু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপভোক্তাদের ভেলোরে চিকিৎসা দিতে, সরকারের খরচ হচ্ছে ১৪-১৫ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত বাংলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ এই কার্ডের মাধ্যমে ভেলোরে চিকিৎসা পেয়েছেন। আর সেখানে নিখরচায় চিকিৎসা দিতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এম্নকি এই তথ্যও সামনে এসেছে যে, বহু সচ্ছল মানুষ অত্যন্ত সাধারণ কিছু চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্যও ভেলোর যাচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে নিয়ে। অথচ, ওইসব চিকিৎসা বাংলার বহু সরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যায়। তাঁদের এই ধরনের আচরণের জন্য এই কার্ডের সত্যিই যাঁদের প্রয়োজন, কার্যত তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই সব দিক খতিয়ে দেখেই এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে ভেলোর ছোটার পথে লাগাম টানতে কোমর বাঁধা শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। আর সবটাই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঢোকঢোল পেটানোই সার! প্রকাশ করা হল না রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ

মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে কাটল জট, কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহারে অনুমতি হাইকোর্টের

‘বিচারব্যবস্থায় মেরুদণ্ড সোজা রাখা লোকজন রয়েছে বলে দেশটা বেঁচে রয়েছে’

দুপরেই আকাশ কালো করে কলকাতায় শিলা বৃষ্টি, বিপর্যস্ত জনজীবন

ভোট প্রচারে বুথ স্তরে টাকা পাঠাচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব, ক্ষুব্ধ কর্মীরা

সন্দেশখালি ইস্যু ব্যুমেরাং, মানছেন বাংলার পদ্মনেতারাও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর