এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বউবাজারের বিস্ফোরণের চক্রী খালিদকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর নির্দেশ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে কলকাতার(Kolkata) বউবাজার এলাকার বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি দোতলা বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা(Bowbazaar Blast) ঘটে। সেই বিস্ফোরণে বাড়িটি কার্যত গুঁড়িয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আশেপাশে আরও এবশ কিছু বাড়ি। ওই ঘটনায় সেই সময় মোট ৬৯জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের মামলায় একদা কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদ খানের(Rashid Khan) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী মহম্মদ খালিদকে(Muhammad Khalid) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কেননা এই খালিদ ছিল রশিদের ছায়াসঙ্গী। এবার সেই খালিদকেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে। তাই আদালত এই নির্দেশের ওপর ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

বউবাজার বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছিল যে, রশিদ খানের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা গোটা কলকাতা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত আর বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। খালিদের জীবনের ৩ দশক কেটে গিয়েছে জেলের ভিতরে। কয়েক বছর আগে খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের Sentence Review Board-এ আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় খালিদ। খালিদের দাবি ছিল, তিন দশকের জেলজীবনে তাঁর চারিত্রিক পরিবর্তন হয়েছে। এবার সে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, ‘এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে আবেদনকারীর ৩ দশকের চারিত্রিক পরিবর্তন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। তার অতীতের ছায়া যদি বর্তমানের ওপর এতটা প্রভাব ফেলে তাহলে সেটা অনভিপ্রেত। তাছাড়া শাস্তি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই তো অপরাধীকে শুধরে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো। তাই মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দিতে হবে বউবাজার বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীকে। তাঁর বন্দিজীবনে ইতি টেনে তাঁকে এবার সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক Sentence Review Board।’

এমনিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের একটি সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ বা Sentence Review Board রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বন্দির আচার-ব্যবহার কেমন, কতটা বদল হয়েছে তাঁর মানসিকতার, তিনি যে-অপরাধে জেল খাটছেন, সেই সাজা এত দিনে যথেষ্ট হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় তাঁর মুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সাজা খাটার ১৪ বছর পরে সরকারের সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে। খালিদের ক্ষেত্রে জেলযাত্রার পর ৩১ বছর কেটেছে। সেটা বিবেচনা করেই ১৫ দিনের মধ্যে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব ঠিক থাকলে দ্রুত সে মুক্তিও পাবে। তবে, রাজ্য সরকারের আপত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া পিছিয়ে গিয়েছে মাসখানেক। কেননা চার সপ্তাহের জন্য ওই রায় কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এপ্রিলের কাজের জন্য বেতন পেলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা

হাইকোর্টে ফের  জামিনের আবেদন খারিজ, জেলেই থাকতে হবে পার্থকে

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

নবান্ন-রাজভবন- জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তদন্তে লালবাজার 

সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

মন্ত্রী- বিধায়কদের জন্য সুখবর, মে মাসেই  পেতে চলেছেন বকেয়া-সহ বর্ধিত বেতন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর