নিজস্ব প্রতিনিধি: আয় বাড়াতে মাঝেমধ্যেই ৩০টির বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে, এমন আবাসনে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করে কলকাতা পুরনিগম(KMC)। তাতে সাড়াও মেলে ভালোই। অনেকেই সেই শিবিরে এসে মিটিয়ে দেন বকেয়া সম্পত্তি কর। আবার, মিউটেশন(Mutation) হয়নি যাঁদের, তাঁরাও শিবিরে তা করিয়ে নেন। কলকাতার ধাঁচে এবার Kolkata Metropolitan Development Authority বা KMDA’র আওতাধীন পুরসভাগুলিকেও বিভিন্ন আবাসনে পুরকর(Municipality Tax) আদায়, মিউটেশনের জন্য শিবির করার নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর(Department of Urban Development & Municipal Affairs)। এ প্রসঙ্গে রবিবার রাতে পুর দফতরের এক কর্তা জানান, আবাসনে শিবিরের মাধ্যমে গত বছর ৮২ কোটি টাকা আয় করেছে কলকাতা পুরনিগম। কলকাতা লাগোয়া অন্য পুরসভাও যাতে এই শিবিরের আয়োজন করলে একলপ্তে আয় অনেকটাই বাড়বে-এমনটাই দাবি পুর দফতরের আধিকারিকদের। পাশাপাশি, পাড়াতেও এই রকমের শিবির আয়োজন করে আয় বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পুর দফতর। মূলত বিধাননগর পুরনিগম এবং দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর ও কামারহাটি পুরসভাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে আবাসনে আবাসনে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরনিগম। কোভিডের জন্য নেওয়া হয়েছিল এই উদ্যোগ। ওই বছর পুরকর, মিউটেশন বাবদ আদায় হয় ৫২ কোটি টাকা। এর পর থেকেই আবাসনে নিয়মিত শিবির করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পু্রনিগম। রাজ্যের পুর দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এমন অনেকে আছেন, যারা নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তিকর জমা করতে চান। তবে পুরভবনে গিয়ে বা অনলাইনে সম্পত্তিকর দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অনীহা রয়েছে। বাড়ির দরজায় শিবিরের আয়োজন করলে সহজেই তাঁদের থেকে বকেয়া টাকা টাকা আদায় করা যায়। বিধাননগর পুরনিগম, দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর পুরসভার অনেক বাসিন্দাই দুয়ারে সরকার-এর ধাঁচে আবাসনে সম্পত্তিকর, মিউটেশনের জন্য শিবির করার আবেদন মাঝেমধ্যেই করেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র অন কল অনুষ্ঠানে। কেননা, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমই(Firhad Hakim) রাজ্যের পুরমন্ত্রী। সে কারণেই বাসিন্দাদের আবেদন মেনে কলকাতা লাগোয়া পুর এলাকাগুলিতে সম্পত্তিকর, মিউটেশনের জন্য আবাসনে শিবির হোক-এমনটাই চাইছেন পুরমন্ত্রী।