নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ওরে নবমী নিশি হৈল অবসান গো/ শুনেছি দারুণ তুমি না রাখ সতের মান’। রাত ফুরোলেই মেয়ে কৈলাসে চলে যাবে, তাই কাঁদছেন হিমালয় জায়া মেনকা। বাঙালির কাছে দুর্গা (DURGA) মেয়ে হিসেবেই আরাধ্যা। এই উৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিট থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল নবমী তিথি। তা ছিল ৪ অক্টোবর দুপুর ২টো ২০ মিনিট পর্যন্ত। মানে এখন দশমী তিথি। তবু দর্শনার্থীরা তিথি’কে ধরে নিয়েছেন দিন হিসেবেই। মানে আজই শেষ দিন। আগামিকাল বিসর্জন। আর মঙ্গলবার দুপুর থেকেই দেখা গেল জনতার ঢল নামছে রাজপথ থেকে অলিগলিতে। উদ্দেশ্য একটাই, প্যাণ্ডেল হপিং।
মনখারাপ বাঙালি’র। দেখতে দেখতে উৎসব শেষ। এবারের পুজোতে প্রথম থেকেই ভিলেন ছিল বৃষ্টি। ষষ্ঠী থেকে নবমী সকাল পর্যন্ত প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে হালকা, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে বজ্রপাতও। কয়েক পশলা বৃষ্টি মনখারাপ করেছিল বাঙালির। সেই মন খারাপ নিয়েই চলেছে প্যাণ্ডেল হপিং। মঙ্গলবারেও বৃষ্টিপাত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। তবু এদিন সকালের পরে দেখা গিয়েছে রোদের ঝলক।
আর তাই দুপুর থেকেই ঢল নামতে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের। গতকাল রাতের বৃষ্টিতে ‘মাটি’ হয়েছে মজা। তাই ফের আজ দুপুর থেকেই নামছে ঢল। শ্রীভূমি, দমদম পার্ক, নাকতলা উদয়ন সংঘ, সুরুচি সংঘ, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, চেতলা অগ্রণীতে বাড়ছে জনতার ঢল। কেও কেও সাবধানী হয়ে এনেছেন ছাতা এবং রেনকোট। কেও বা আনেননি কিছুই। বৃষ্টির সময়, তাই হাওয়া অফিস থেকে বজ্রপাত সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরও দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।