এই মুহূর্তে




‘জেলে থাকতে আর ভালো লাগছে না’, হাউ হাউ করে কাঁদছেন পার্থ

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: একসময় তিনিই ছিলেন কলকাতার(Kolkata) বিখ্যাত পুজো(Durga Puja) নাকতলা উদয়ন সংঘের(Naktala Udayan Sangha) প্রধান মুখ তথা পৃষ্টপোষক। এখন তিনিই আছেন প্রেসিডেন্সি জেলে(Presidency Correctional Home)। পুজোর সময় যার দিন কাটতো মিডিয়া আর ভিভিআইপি পরিবৃত হয়ে, এখন তাঁর দিন কাটছে জেলের সেলের অন্দরে। প্রতিবারের মতো এবারও জাঁকজমকসহকারে প্রেসিডেন্সি জেলে দুর্গাপুজো হয়েছে। বন্দিরা সেই পুজোতেও অংশও নিয়েছেন। খালি সেই পুজোয় ছিঁটেফোঁটা অংশগ্রহণ করেননি তিনি। দেখাননি তিনি কোনও উৎসাহও। কার্যত পুজোর দিনগুলিতে নিজেকে সেলবন্দী করেই রেখেছিলেন তিনি। জেলের পুজোমণ্ডপমুখী হননি তিনি একটি দিনের জন্যও। পুজোর চারদিন তিনি ঠায় সেলের বারান্দায় টিভিতে চোখ রেখে কাটিয়েছেন। পর্দাতেই চাক্ষুষ করেছেন বিভিন্ন মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা। টিভিতে দুর্গা ঠাকুরের ছবি দেখতে দেখতে তাঁর দু’চোখ দিয়ে জলের ধারাও নেমে আসে একদিন। আর এখন তো তিনি রীতিমত হাউহাউ করে কাঁদছেন সেলের অন্দরে বসে। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)।

প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রী সেলের মধ্যেই কিছুদিন ধরেই হাউ হাউ করে কান্নাকাটি করছেন। জেলকর্মীরা তাঁর সেলের কাছে গেলেই তাঁদের শুনিয়ে তিনি বলছেন, ‘এই চার দেওয়ালের মধ্যে আর ভালো লাগছে না। জেলে থাকতে আর ভালো লাগছে না।’ এরপরই তিনি কেঁদে ফেলছেন। জেলকর্মীরা তাঁকে মাঝেমধ্যেই  বুঝিয়েসুঝিয়ে শান্ত করছেন। জেল কর্মীদের একাংশের কথায়, ‘তাঁর জামিনের আর্জি বারবার খারিজ হওয়ায় পার্থবাবু রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। ফলে তিনি প্রায়ই কেঁদে ভাসাচ্ছেন।’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বর্তমান ঠিকানা যে প্রেসিডেন্সি জেলে সেখানে এই মামলায় আরও একাধিক অভিযুক্ত রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের থেকে অনেকটাই দূরে এবং পৃথক সেলে আছেন পার্থ।

জেল সূত্রের খবর, অভিমানে পুজোর ক’দিন তিনি সেলের বাইরেই যাননি। এমনকী, কোনও কারণে সেলের বাইরে পা রাখলেও খুব দ্রুত নিজেকে কোনওভাবে সামলে নিয়ে সোজা ফেরত চলে যান সেলে। চিৎকার চেঁচামেচি পার্থর একেবারেই পছন্দ নয়। অথচ সেলের বাইরে কিছু বন্দির হল্লা লেগেই থাকে। এতে তিনি রীতিমতো বিরক্ত। এনিয়ে পার্থ তাঁর ক্ষোভের কথা বলেছেন কারারক্ষীদের। কিন্তু কে শোনে কার কথা! জেলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পার্থ জেলে আসার গোড়ার দিকে তাঁকে দেখতে মাঝেমধ্যেই কিছু বন্দি উঁকিঝুঁকি মারত। কিন্তু এখন কোনও বন্দিই আর তাঁর সেলমুখী হয় না। পার্থও কার্যত নিসঙ্গতা আর হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। জেলকর্মীদের দাবি, উনি খুব আশায় ছিলেন পুজোর আগে হয়তো জামিন মিলবে। কিন্তু তা না মেলায় এখন কান্নাকাটি শুরু করেছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগামী বছর কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি

পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকলেন মমতা

মমতার লড়াইয়ের ফল, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল মোদি সরকার

আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে এবার গ্রেফতার আশিস পান্ডে

পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসুন জুনিয়র ডাক্তারেরা, পরামর্শ সিনিয়রদের

মাত্র হাজার টাকার বন্ডেই জামিন পেয়ে গেলেন রূপা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর