নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার পুনর্নিমাণের পথে পা বাড়াল কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় সেই পথেই হাঁটা দিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এখনও পর্যন্ত পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের হাতে ৯জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদেরই একজন সপ্তক কামিল্যাকে(Saptak Kamilla) নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ হাজির হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে(Main Hostel) যেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। কেননা, পড়ুয়ার ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল যে রাতে সেই ৯ অগাস্ট ঠিক কী হয়েছিল তা এখনও ধোঁয়াশায় মোড়া। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বয়ানে দেখা যাচ্ছে কিছু না কিছু অসঙ্গতি। তাই তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনার পুনর্নিমাণ(Rebuilding Incident) করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণেই এদিন সপ্তককে নিয়ে যাওয়া হয় মেন হস্টেলে।
আরও পড়ুন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR গর্গের, রাজনীতিতে পা বাংলা পক্ষের
শুক্রবার দুপুর ১টার কিছু পরে সপ্তককে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে হাজির হয় পুলিশ। দুপুর দেড়টা থেকে শুরু হয় ঘটনার পুনর্নিমাণের পালা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ন’জনের বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। একেক জন একেক রকম কথা বলছে। সত্যের খোঁজেই তাই ধৃতদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনাটির পুনর্নির্মাণ করানো হচ্ছে। সপ্তকের পরে বাকি আট জনকেও আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ে আসা হবে। প্রত্যকের কাছেই জানতে চাওয়া হবে, গত ৯ অগস্ট রাতে ঠিক কী ভাবে কী হয়েছিল? কে কোথায় ছিল? কোন ঘরে ইন্ট্রো নেওয়া হয়েছিল ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রের? কোন ঘরেই বা তাঁকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? সেই সবই আলাদা আলাদা ভাবে জানতে চাওয়া হবে ধৃত ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের থেকে। পুলিশ নজর রাখবে এই ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের বয়ানে থাকা অসঙ্গতির দিকেও।
আরও পড়ুন ধূপগুড়িতে বিজেপির ঘুম কাড়তে মাঠে হাজির নির্দল তারামণি
এদিন কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেককে দিয়ে এই পুনর্নিমাণের প্রক্রিয়াটি শেষ হতে এক দিনের বেশি সময়ও লাগতে পারে। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যে চার জন প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই সপ্তক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সপ্তকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। তবে সপ্তকের আগে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল যাদবপুরের আরও এক প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। এ ছাড়া মন্দিরবাজার এলাকার সুমন নস্কর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সর্দারকেও গ্রেফতার করা হয়। আগেই যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। গত বুধবার আরও তিন ছাত্র জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।