নিজস্ব প্রতিনিধি: অসহায় বৃদ্ধ এবার নিজের সংস্থানের উপায় না দেখে সরাসরি চলে এলেন ‘দিদি’র কাছে। মানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে। তাঁর আবেদন যদি ‘দিদি’ কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেন। যদি দুবেলা দুটো পেট ভরা খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। যদিও শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। পুলিশও তাঁকে বুঝিয়েসুজিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতে পেরেছে। রবি সন্ধ্যার এই ঘটনায় কার্যত আরও একবার প্রমাণ করে দিল বাংলায়(Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কিছু নেই। মানুষ তাঁকে ভরসা করেন। বিশ্বাস করেন। তাঁর ওপর আস্থা রাখেন। সেই ‘দিদি’র বিকল্প এখনও কেউ হয়ে উঠতে পারেননি বাংলার মাটিতে।
জানা গিয়েছে, রবি সন্ধ্যায় যে বৃদ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসে হাজির হন তাঁর নাম রাধেশ্যাম রাম(Radheshyam Ram)। বয়স ৭৫। বাড়ি হুগলি জেলার(Hooghly District) সদর মহকুমার চুঁচুড়া থানার(Chinsurah PS) হুগলি স্টেশনের কাছে। বৃদ্ধ গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে আসেন ও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁর দাবি, বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই থাকা-খাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। যদি মুখ্যমন্ত্রী কিছু কাজের ব্যবস্থা করে দেন হুগলি স্টেশনের আশেপাশে তাহলে দুবেলা দুমুটো জুটে যাবে। পুলিশ অবশ্য তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাধেশ্যামের দেখাও হয়নি। পরিবর্তে পুলিশ চুঁচুড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ রাধেশ্যামের ছেলে সঞ্জীব রামকে সঙ্গে নিয়ে সোজা কালিঘাটে এসে হাজির হয়। বৃদ্ধ যাতে ছেলের বাড়িতে থাকতে পারে, তার জন্য বৃদ্ধ ও তাঁকে ছেলেকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ বা মতামতের জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নামে একটি টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে সেখানে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে বলা হয়েছে। রাতেই রাধেশ্যাম ও সঞ্জীবকে পুলিশ চুঁচুড়ার বাড়ি অবধি পৌঁছেও দিয়েছে।