নিজস্ব প্রতিনিধি: ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতছেনই। বিজেপি কেন অন্য কোনও দল জিততে পারবে না এই আসনে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন প্রাক্তন তৃণমূলী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের কেন্দ্র ডোমজুড়ে হেরে আপাতত তৃণমূলে ফেরার আপ্রান চেষ্টা করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন তিনি। অপেক্ষায় কখন আসবে ডাক। তাই কখনও মমতা বন্দনা ও কখনও বিজেপির সমালচনা করতে ছাড়ছেন না রাজীব। আজ আবার ভবানীপুর নিয়ে গড়িয়াহাটে বসেই ভবিষ্যৎ বানী করে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
রাজীব বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘এরাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেখেই ২১৩টা আসনে তৃণমূলকে জয়ী করেছেন সাধারণ মানুষ। ফলে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন আরও বাড়বে। এর আগের নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে যারা তৃণমূলকে ভোট দেননি তাঁরাও এবার দু’হাত ভরেই মমতাকে ভোট দেবেন। টিভিতে যেমন চোখ রেখে বসেছি তেমনি ফোনেও অনেকের থেকে খবর নিয়েছি। কারণ, আমি তো একজন রাজনীতিক।’ একুশের নির্বাচনের আগে বড় মন্ত্রীত্ব পাওয়ার লোভে দিল্লি গিয়ে শাহি সাক্ষাতের পর ডুমুরজলাতে বিজেপিতে যোগদান করেন রাজীব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অপকথা বলে নিজের গায়ের কালি মুছতে গিয়েছিলেন রাজীব। কিন্তু ডোমজুড়ের মানুষ যোগ্য জবাব দিয়ে গোহারা হারিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রীকে।
তাই এবার কখনও কুনাল ঘোষ, কখনও অভিষেক আবার কখনও পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের পদলেহন করে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন রাজীব। তাই বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুষ্ট করতেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না রাজীব। কিছুদিন আগেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাজীব বলেন, ‘ভোটের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খালা, ফুফু বলা ঠিক হয়নি। মানুষ তা মেনে নেয়নি।’