নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মহাকাশ আর দূরের নয়। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্যের দৌরাত্ম্যে মহাকাশ এসেছে হাতের মুঠোয়। চাঁদের মাটিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। সুদূর অতীত থেকেই মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহের সীমা নেই। সীমাহীন এই মহাবিশ্বের রহস্য যুগ যুগ ধরে মানুষের উৎসাহের সীমা বাড়িয়েছে। বিশ্বের সীমা ছাড়িয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন ভারতীয়রা। এবার সেই মহাজাগতিক বস্তু দর্শনের সুযোগ মিলবে কলকাতায়। তিলোত্তমায় তৈরি স্পেস মিউজিয়ামের দরজা শুক্রবার খুলে দেওয়া হল। উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা।
উল্কাপিণ্ডের অংশ, রাইট ব্রাদার্সের তৈরি উড়োজাহাজের রেপ্লিকা, অ্যাপোলো ২১ স্পেসক্র্যাফট ক্যাপসুলের মডেল, স্টিফেনের স্ট্যাম্প, বেলুনে চেপে রামচন্দ্রের আকাশপাড়ির কাগজ বিজ্ঞাপনের কাটআউট, চাঁদ-মঙ্গলের পাথর, প্রথম মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রংয়ের মাথার চুল, মহাকাশ সংক্রান্ত বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের সই-স্মারক-বই সহ কি নেই এই মিউজিয়ামে। অন্তত ১২০০টি নানাধরণের মহাজাগতিক বস্তু রয়েছে। কলকাতার এই ইন্ডিয়ান সেন্টার অফ স্পেস ফিজিক্স-এর অন্দরে অভিনব সংগ্রহশালার দ্বার খুলে দেওয়া হল।
উদ্বোধন করলেন রাকেশ শর্মা। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, ইন্টিগ্রেটেড এয়ার চিফ মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) অরূপ রাহা, ইসরোর বিজ্ঞানী ড. অনুজ নন্দী, ইসরোর ডিরেক্টর অফ স্পেস সায়েন্সেস-এর প্রাক্তন অধিকর্তা অধ্যাপক সুভাষচন্দ্র চক্রবর্তী সহ অনেকে। ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন নাসার নভশ্চর ড. জন গ্রানসফিল্ড।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর পর এই সময়টায় আমরা বাঙালিরা কারও সঙ্গে দেখা হলে বলি শুভ বিজয়া। সেই আবহেই উদ্বোধন হল বিশ্বমানের এই সংগ্রহশালার। অভিনন্দন।’’
ইন্ডিয়ান সেন্টার অফ স্পেস ফিজিক্সের ডিরেক্টর সঞ্জীব চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এই সংগ্রহশালা আমরা উৎসর্গ করেছি রকেট-তৈরির পুরোধা স্টিফেন হেক্টর টেলর স্মিথ এবং প্রখ্যাত বেলুনিস্ট রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি বেলুনে সওয়ার হয়ে সোদপুর পৌঁছেছিলেন ৪০ মিনিটে।’’
ফলতই এই সংগ্রহশালা মহাকাশ আগ্রহীদের কাছে এক সম্পদ। এমনকি যুবক সম্প্রদায় সহ সকলের কাছেই অজানা রহস্যের উন্মোচনকারী।