নিজস্ব প্রতিনিধি: বেহালায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এলাকার একটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। সংঘর্ষের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোমনাথ ওরফে বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন বেহালা পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গেই অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবনের পরিবারের মহিলারা বৃহস্পতিবার বিধায়ক রত্নার বাড়িতে যান। সেখানেই অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনের সামনেই স্পষ্ট ভাবে তিনি বাবনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোলমালের ঘটনায় যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের লোকেরা দেখা করতে এসেছিলেন। আমি জানিয়েছি আইন আইনের পথে চলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বিষয়টি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সবাইকে তা মেনে নিতে হবে। আমি সেটা ওদের জানিয়ে দিয়েছি। অন্যায় করলে রাজনৈতিক রং দেখে বিচার করা হবে না।’’
মঙ্গলবার রাতে বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাত ১০টা নাগাদ ওই গোলমালে প্রায় ৮ রাউন্ড গুলি চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁরা জানান, বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী এই তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী চলে ইট বৃষ্টি। এর জেরে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
এই ঘটনায় প্রায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। আক্রান্ত হন এলাকার কয়েকজন মহিলাও। বেশ কিছু দোকান, সাধারণ মানুষের গাড়ির কাচ, বাড়ির জানালার কাচ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবন বন্দ্যোপাধ্যায় পলাতক। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির আশেপাশে, পাড়ায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টার বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।