নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংসদ হিসেবে ১০ বছর পূর্ণ করার পথে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এবার সামনে ২৪’র মহাযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের প্রস্তুতি তিনি এদিন অর্থাৎ রবিবার থেকেই শুরু করে দিলেন তাঁর নিজ লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের(Daimond Harbour) পৈলান দৌলতপুর(Pailan Daulatpur) যুব সংঘের মাঠ থেকে। এদিন তিনি তাঁর নিজ সংসদীয় কেন্দ্রে বয়স্ক মানুষদের(Old Age Person) বার্ধক্য ভাতা(Pension) প্রদানের কাজ শুরু করলেন। এই ভাতা প্রদান কোনও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে হচ্ছে না। হচ্ছে অভিষেকের নিজের সংগঠনের মাধ্যমে। তবে এদিনের অনুষ্ঠান থেকে অভিষেক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই নিজস্ব বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প চালু করতে চলেছে। এদিন অভিষেক নিজেই জানান, এদিন থেকে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের ৭৬ হাজার ১২০ জন বয়স্ক মানুষ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে এই ভাতা পাবেন। যতদিন তাঁরা বাঁচবেন ততদিন তাঁরা সেই ভাতা পাবেন।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে অভিষেক বলেন, ‘প্রথমবার যখন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হিসেব আমার নাম করা হয় তখন এই মাঠ থেকেই আমি আমার প্রথম সভা করছিলাম। এই অনুষ্ঠান কথা দিয়ে কথা রাখার অনুষ্ঠান। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করা করার অনুষ্ঠান, মানুষের পাশে থাকার কথা দিয়ে সেই কথা রাখার অনুষ্ঠান। ধর্মের ভেদাভেদি নয়, রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয়, মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের কাজ। আপনারা আমাকে সাংসদ করে দিল্লিতে পাঠিছিলেন। আমার সামর্থমতো কখনও জল, কখনও কল দিয়ে আপানাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি ভোটে আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি এই মাঠ থেকেই শুরু করি। তাই আজকের এই বার্ধক্যভার যে অনুষ্ঠান, কথা দিয়ে কথা রাখার যে অনুষ্ঠান, প্রতিশ্রুতি পূরণের য়ে অনুষ্ঠান সেটা এই মাঠেই করব বলে ঠিক করলাম। ৭১টি অঞ্চল আর ৯২-৯৩টি ওয়ার্ড, ১৬৪টি সভা আজ ডায়মন্ডহারবারের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে হচ্ছে। ওইসব সভা থেকে এলাকার সমাজসেবীরা গরিব বয়স্ক মানুষের হাতে ১ হাজার টাকার চেক তুলে দিচ্ছেন।গত ১০ নভেম্বরের সভা থেকে কথা দিয়েছিলাম ১ জানুয়ারি থেকে বার্ধক্যভাতা চালু করব বলেছিলাম। দুমাস সময় লেগেছে। তারপর এই সভা করছি। গত ২ মাস ধরে ৮৫ হাজার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তারপর ভেরিফিকেশন হয়েছে। কার প্রয়োজন রয়েছে, কার প্রয়োজন নেই। সেসব দেখেই ওই ৭৬ হাজার ১২০ জনকে ১ হাজার টাকা প্রতি মাসে দিতে পারি তা ঠিক করেছি।’
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আজ অন্য দলেরও সভা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই সভার তফাত হল এখানে মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখতে পাচ্ছে। এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল। আর ২ মাস পর নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। আমি চাইলেই বলতে পারতাম আমাকে জেতান বা তৃণমূল প্রার্থীদের জেতান। তারপর এই বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দেখব। কিন্তু না। ওই নীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাসী নয়। আমি যা কথা দিই তা রাখি। আমি কাজ করে দেখাই তারপর বলি কাজের হিসেব নিন তারপর ঘাসের ওপরে ভোট দিন। যারা এই সভা থেকে বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন তাদের কথা দিচ্ছি, আমাদের রাজ্যসকার খুব শীঘ্রই বার্ধক্যভাতা চালু করবে। কেন্দ্রের ওপরে আমাদের আস্থা নেই। যদি করে তাহলে আমাদের মানবিক রাজ্য সরকারই করবে। আমাদের ১৬৩৮০ জন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে বলেই আমরা আমাদের স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে পেরেছি।’