নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সময় যত এগিয়েছে। মানুষের জীবনশৈলীতে তত পরিবর্তন এসেছে। বিলাসবহুল জীবনযাপন এখন মানুষের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে অধিক পরিমাণে অর্থ তাঁদের রঙিন জীবনের দিকে পা বাড়াতে সাহায্য করেছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামি দামি গাড়িতে চড়ার ধুম পড়েছে। সম্প্রতি পরিবহন দফতরের এক গোপন রিপোর্টে ধরা পড়েছে গাড়িগুলির কর মেটাননা গাড়ির মালিকরা। যত দামি গাড়ি তত কর ফাঁকি। বিএমডব্লু, মার্সিডিজ, পোর্শা, অডি, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, রেঞ্জ রোভার… দামি দামি গাড়ির কর ফাঁকি দিতে বাকি নেই কোটিপতি, নায়ক-নায়িকা, তাবড় তাবড় শিল্পপতি, চিকিৎসক, আইনজীবী।
সূত্রের খবর, ৬০ লাখ থেকে শুরু করে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার গাড়ির মালিকদের মধ্যে ১৯৩১ জন দীর্ঘদিন কর মেটাননি। বকেয়া করের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৭০ কোটি টাকা। তারপরেও দিব্যি কর ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় গাড়িগুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন মালিকেরা। এমনকি রাস্তায় রীতিমত দাঁড় করিয়ে কর মেটানোর আবেদন করছেন মোটর ভেহিকেল ইনসপেক্টররা।
বহু গাড়ি কর না মেটানোর ফলে আটক করা হচ্ছে। তাতেও হেলদোল নেই। গাড়ি ছাড়াতেও অনীহা মালিকদের। বরং দীর্ঘদিন হেলায় পড়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার আটক হওয়া গাড়িগুলি। জানা গিয়েছে সম্প্রতি কর ফাঁকি দেওয়া বিলাসবহুল দামি গাড়ির সংখ্যা ও মালিকদের নামের তালিকা চেয়েছিল নবান্ন। সেই রিপোর্ট পেয়ে অবাক হয়েছেন অফিসাররা। ৫-১০ বছর কর না দিয়ে দিব্যি গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন প্রভাবশালী কোটিপতিরা। এবার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে কর মেটানোর জন্য স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (এসটিএ) তরফে কর না মেটানো সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিকদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও কর না দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্টের মাধ্যমে সরকার বকেয়া আদায় করবে। সাধারণ গাড়ির মালিকদের মধ্যে কর মিটিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি বলেই জানিয়েছেন সরকারি কর্তারা।