নিজস্ব প্রতিনিধি : বসিরহাট আদালত থেকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত হওয়ার পর গ্রীন করিডর করে কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হল শেখ শাহজাহানকে। আগামী ১০ দিন শেখ শাহজাহানের ঠিকানা ভবানি ভবনে সিআইডি সেল। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে বসিরহাট থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ঘটকপুকুর, ভোজেরহাট পেরিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় শাহজাহানকে। শাহজাহানকে সরাসরি ভবানী ভবনে এনে রাখা হয়। কার্যত গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ। পিছনের গেট যেখান থেকে মূলত গাড়ি বের করা হয়, সেখান দিয়েই ঢুকলেন শাহজাহান। আগামী ১০ দিন তাঁকে সেখানেই রাখা হবে। সেখান থেকেই শাহজাহানকে দফায় দফায় জেরা করবেন রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
এদিন সকালে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়া থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়নি। সরাসরি তাঁকে বসিরহাট আদালতের লক আপে নিয়ে আসা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সেখানেই বসিয়ে রাখা হয়। আদালত শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাট আদালত থেকে সাতটি গাড়ির কনভয় বের হয়। দুই কিলোমিটার রাস্তা পেরোনোর পর গাড়ির কনভয় বসিরহাট রেলগেটের কাছে এসে পৌঁছোতেই অন্য একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে কনভয়ের মাঝখানে। এরপর শাহজাহানকে নিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাকি কনভয় থেকে। পুলিশ বাহিনী কনভয়ে ঢুকে পড়া গাড়িটিকে যখন সরানোর জন্য কাজ করছিল, তখন শাহজাহানকে নিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে বেরিয়ে যায়।