এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শান্তিপ্রসাদের নিজাম প্যালেস ত্যাগ রাত আড়াইটেয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাটকীয় হাজিরা। ঠিক ততটাই নাটকীয় প্রস্থান। এলেন রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। বেড়িয়ে গেলেন রাত ২টো ২৫ মিনিটে। প্রায় ৩ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ। তার নির্যাস শুক্রবার সকালেই জমা পড়বে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। সেই রিপোর্ট দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। নজরে শান্তিপ্রসাদ সিনহা(Shanti Prasad Sinha)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা। গ্রুপ-ডি পদে কর্মী নিয়োগের দুর্নীতির মামলায় যাকে ‘কিংপিন’ বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকেই বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) হাজিরা দিতে হয়েছে সিবিআই(CBI) আধিকারিকদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন তাঁর নিজস্ব আইনজীবী। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এদিন রাত ১২টার মধ্যেই শান্তিপ্রসাদকে জেরা করতে হবে। জেরা করবেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। সেই জেরার রিপোর্ট শুক্রবার সকালেই আদালতে জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই শুক্রবার শুনানিকালে এই ঘটনায় যা জানাবার তা জানাবেন বিচারপতি। তাই এদিন সকাল থেকেই সকলের নজর রয়েছে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির দিকে।

শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? ২০১৬ সালের এসএসসি(SSC) গ্রুপ ডি রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্টে ৯৮ জন কর্মী নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট দিয়ে জানায়, তারা নিয়োগের সুপারিশ করেনি। অপরদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, কমিশনের সুপারিশ পেয়েই নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ২০২০ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন শান্তি প্রসাদ সিনহা। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ এসএসসি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় শান্তিপ্রসাদকে নানা বেআইনি সুপারিশ করতে দেখা গিয়েছে। তাই তাঁকে জেরা করলেই এই দুর্নীতিকাণ্ডের মূল শিকড়ে পৌঁছানো যাবে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই আধিকারিকদের হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় শান্তিপ্রসাদকে জেরা করতে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে হবে শান্তিপ্রসাদকে। তবে এখনই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশের জেরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কিন্তু সেই সময় তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর পরিবারের কেউ এটাও বলতে পারেননি যে তিনি ঠিক কোথায়। এমনকি শান্তিবাবুর মোবাইলে বার বার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাত বাড়তে থাকায় সিবিআই আধিকারিকেরা ধরেই নিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু নাটকীয় ভাবে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে শান্তিপ্রসাদ তাঁর আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কার্যালয়ে হাজিরা দেন। সেখান থেকে তিনি বার হন রাত ২টো ২৫ মিনিটে। যদিও সেই সময় সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি শান্তিপ্রসাদ। তাই সকলের নজর এখন আটকে আছে সিবিআই আজ হাইকোর্টে কী রিপোর্ট জমা দেয় আর সেই রিপোর্ট দেখে কলকাতা হাইকোর্ট কোন রায় দেয়, সেই দিকেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

এপ্রিলে মমতার বাংলায় GST আদায় বাড়ল ১৩ শতাংশ

সাতসকালে গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর