নিজস্ব প্রতিনিধি: বেতন বিভ্রাটের জেরে গত ২ মাস ধরে বেতন(Salary) পাচ্ছেন না কলকাতা পুরনিগমের(KMC) ২৭জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী(Contractual Workers)। এই কর্মীরা পুরনিগমের পানীয় জল সরবরাহ বিভাগে(Water Supply Department) কাজ করেন। পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ শাখা পলতা জলপ্রকল্প বিভাগে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা শিফটে ১২৪ জন কর্মী রয়েছেন। পাশাপাশি, নিরাপত্তাকর্মী ১১৮ জন। এরা প্রত্যেকেই বেসরকারি সংস্থা মারফৎ নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সেই সংস্থাকেই পুরনিগম প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। প্রচুর টাকা বকেয়া হয়ে যাওয়ায় ওই সংস্থা কর্মীদের মাইনে বন্ধ করেছে। যে ২৭জন কর্মীর বেতন আটকে গিয়েছে তাঁদের কেউ মাইনে পান ১৫ হাজার টাকা, কেউ বা ১৮ হাজার টাকা। গত মার্চ এবং এপ্রিল মাসের মাইনে তাঁদের হয়নি। তবুও তাঁরা কাজ চালু রেখেছেন।
আরও পড়ুন নজরে OMR Sheet, কারচুপি ঠেকাতে তৎপর PSC
জানা গিয়েছে, পলতার ৪০ এমজিডি ইউনিটের ২৭ জন কর্মীর এখন বেতন আটকে যাওয়ায় ওই বেসরকারি সংস্থা লিখিতভাবে জানিয়েছে, কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনও টাকা দিচ্ছে না। তাই তারাও এই বেতন দিতে পারছেন না। জরুরি পরিষেবা হওয়ায় কষ্ট হলেও নাগরিক স্বার্থের কথা ভেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন টাকা না পেলে এমনটা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে পুরনিগমের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, কী হয়েছে, তা গোটাটাই খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান ঘটে।
আরও পড়ুন বন্ধ হতে পারে বাংলার সাড়ে ৫ লক্ষ প্রবীণের বার্ধক্য ভাতা
উল্লেখ্য, এই জল সরবরাহ বিভাগ আবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) হাতে রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি পুর কমিশনার বিনোদ কুমার একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছিলেন, কোনওভাবেই ঠিকা কর্মীদের বেতন আটকানো যাবে না। কোথাও কোনও সমস্যা হলে তার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের ওপরেই বর্তাবে। মাসখানেক আগেই উদ্যান বিভাগের বহু চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বেশ কয়েক মাসের বেতন না পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এবার ফের জল সরবরাহ বিভাগে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।