নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের মোদি সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অর্থাৎ এদিন ও আগামিকাল বন্ধের(Strike) ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। তার জেরে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে রেল ও সড়ক অবরোধ শুরু করেছেন বামপন্থীরা(Left Supporters)। জায়গায় জায়গায় হচ্ছে পিকেটিং ও মিছিলও। এর মধ্যেই এদিন সকালে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন বাম অবরোধকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার কুলগাছিয়া(Kulgachia) স্টেশনের কাছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের(South Eastern Railway) হাওড়া-খড়গপুর শাখার ওই স্টেশনের কাছে এদিন রেল অবরোধের জন্য লাইনে উঠে গিয়েছিলেন অবরোধকারীরা। সেই সময় হু হু করে ধেয়ে আসে পাঁশকুড়া-শালিমার লোকাল। চলন্ত ট্রেনের(Train) সামনে পড়ে হুমড়ি খেয়ে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়েন কয়েকজন। এঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর শাখার কুলগাছিয়া স্টেশনের কাছে কিছু বাম কর্মী বন্ধের সমর্থনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে রেললাইনের ওপরে উঠে আসেন রেল অবরোধ করবার জন্য। সেই সময়েই ওই লাইন দিয়ে তীব্র গতিতে এগিয়ে আসছিল পাঁশকুড়া থেকে শালিমারগামী লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেন দেখেই ট্রেন লাইন থেকে সরে যাননি বন্ধের সমর্থকরা। কিন্তু খুব কাছে এসেও ট্রেনের গতি না কমায় কার্যত একদম শেষ মুহুর্তে তাঁরা লাইন থেকে ঝাঁপ দিয়ে সরে যান। ঘটনায় এক বামকর্মী জখম হয়েছেন। যদিও তার পরে পরেই ট্রেন থামিয়ে দেন ওই লোকালের চালক। কিন্তু গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। ক্ষোভ ছড়ায় সর্বস্তরের বামকর্মীদের মধ্যে।
ঘটনার জেরে এদিন গৌতম পুরকায়েত নামে এক বন্ধ সমর্থনকারীর দাবি, অনেক আগে থেকে তাঁরা পতাকা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু চালক ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেন চালিয়ে দেন। এতে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। চালকের বিরুদ্ধে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবেন। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসকে আনন্দ জানান, কোনও অনুমতি ছাড়া রেল লাইনে অবরোধ করে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করেছেন বনধ্ সমর্থনকারীরা। যা বেআইনি। ওই বন্ধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।