নিজস্ব প্রতিনিধি: বয়স তার খুবই কম। মাত্র ২ বছর ৩ মাস। কিন্তু তাতে কী হয়েছে! মা সরস্বতীর কাছে আমরা সবাই সন্তান। তাই মায়ের পুজোর দিনে মায়ের কাছেই তো হাতেখড়ি দেওয়ার সব থেকে ভালো মুহুর্ত। সব থেকে ভালো সময়। ঠিক সেটাই হয়েছে আয়াংশের ক্ষেত্রে। মাত্র ২ বছর ৩ মাসে বয়সেই এদিন সে মা সরস্বতীর সামনে ‘অ আ ক খ’ লিখে হাতেখড়ি দিয়ে নিল। সাক্ষী থাকল তার বাবা-মা, আর দিদি। এখন ভাবছেন তো এই আয়াংশ কে! এই খুদে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে। শনিবার সরস্বতী পুজোর দিন বাড়িতেই একদম ঘরোয়া পরিবেশে হাতেখড়ি হল তার।
বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বন। বৈশাখ থেকে চৈত্র পর্যন্ত প্রতি মাসে কোনও না কোনও উৎসব লেগেই আছেই। প্রত্যেক পুজোর আলাদা আলাদা গুরুত্ব এবং উপকারিতা আছে। তেমনই সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি দেওয়ার গুরুত্ব এবং উপকারিতা আছে। মা সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। তিনি আমাদের বিদ্যা দান করেন। আমরা বড়, ছোট সকলেই সরস্বতী পুজো করি ও নিজের নিজের প্রার্থনা জানাই। প্রায় প্রত্যেক বিদ্যা প্রতিষ্ঠানেই তাই সরস্বতী পুজো হয়। সন্তানদের বিদ্যার সুচনা হওয়ার আগেই সরস্বতী ঠাকুরের কাছে শুভ কামনা চেয়েই হাতেখড়ি দেওয়া হয় খুদেদের। পুরোহিত মহাশয় স্লেট ও খড়িকে পবিত্র করেন, এরপর নতুন জামা কাপড় পরিহিত খুদেরা বাবা-মায়ের সামনে বসে প্রথম লেখা লিখতে শেখে। সেটাই হাতেখড়ি। অনেকেরই বিশ্বাস, মা সরস্বতীর পুজোর দিনে তাঁর সামনে বসে হাতেখড়ি দিলে খুদের প্রভূত বিদ্যালাভ হয়। এদিন আয়াংশের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। বাবা-মার সামনে বসে মা সরস্বতীর চরণ তলে স্লেটে লিখেছে সে, ‘অ আ ক খ’।