নিজস্ব প্রতিনিধি: ভবানীপুরে উপনির্বাচনের প্রচার শেষ। ভোট গ্রহন দু’দিন পরই। এখনও উপনির্বাচন নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের মধ্য়ে নানান মত। দুপুরেই দিলীপ ঘোষ ভোট স্থগিতের আবেদন জানালেন প্রকাশ্য়ে। আর বিকেলেই বিজেপির প্রতিনিধি দল কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দাবি করলেন, পুরো ভবানীপুর কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট করা হোক। ফলে আরও একবার প্রকাশ্য়ে এল বঙ্গ বিজেপির অন্দরের ফাটল।
সোমবারই শেষবেলার প্রচারে ধুন্ধুমার হল ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার এলাকায়। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-সহ বহু নেতাকে ঘিরে ধরে চলল বিক্ষোভ। তাঁদের গো ব্য়াক ধ্বনি দেওয়া হয়। সেই সময় ধাক্কাধাক্কি হয়, মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। দিলীপ ঘোষকে উদ্ধার করতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তেড়েও যান। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়, তাই ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হোক। তিনি আরও বলেন, আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি। একজন পুলিশ সুপার পদাধিকারী আমাদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। হেরে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূল এ সব করছে।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে দিলীপ ঘোষের এই দাবির পর বিকেলেই বিজেপির দাবি পরিবর্তন হয়ে গেল। সোমবার বিকেলে রাজ্য বিজেপি-র প্রতিনিধি দল কমিশনে পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানালেও ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার কথা বলেনি তাঁরা। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্তর নেতৃত্বে বিজেপির ওই প্রতিনিধি দল এদিন হামলা নিয়ে রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। পরে স্বপনবাবু বলেন, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করা কমিশনের দায়িত্ব। তাই আমরা দাবি জানিয়েছি, পুরো ভবানীপুর কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট করা হোক। দিলীপ ঘোষের ভোট স্থগিতের দাবি সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে স্বপন দাসগুপ্তর সাফাই, দিলীপদা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এখনও অবধি যে ব্যবস্থা হয়েছে, সেটার উপর তাঁর আস্থা নেই। তাই প্রকাশ্যে ভোট স্থগিত করার কথা বলেছেন।