এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৩ পণ্য করিডর ঘিরে ১২টি জেলায় বিনিয়োগ প্রস্তাবের বাস্তবায়ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে(Bengal Business Summit) এবার রাজ্য সরকারের কাছে ৩ লক্ষ্য ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। বিগত ৫টি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের থেকে এবারের সম্মেলনের আসা বিনিয়োগ প্রস্তাব সব থেকে বেশি। এবার এই প্রস্তাবের যাতে যথার্থ বাস্তবায়ন ঘটে তার জন্য এবার কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার। এবারের সম্মেলনে দেশবিদেশের শিল্পপতিরা যেসব বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে, তা যাতে শুধু প্রস্তাব আকারেই আটকে না থাকে, তার যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সেটাই এখন পাখির চোখ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার। আর সেই বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এখন নজর দিয়েছে ৩টি পণ্য করিডরের(Goods Corridor) দিকে যা ছড়িয়ে রয়েছে ১২টি জেলা জুড়ে। এই ৩টি পণ্য করিডরের আশেপাশে এলাকাতেই সম্মেলনে আসা বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলির বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইছে রাজ্য সরকার(State Government)।

যে ৩টি পণ্য করিডর ঘিরে রাজ্য সরকার শিল্প নির্মাণের জন্য কোমর বাঁধছে সেই ৩টি পণ্য করিডর হল তাজপুর-রঘুনাথপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম। এই ৩টি করিডরের মোট ৬০৩ কিলোমিটার রাস্তা ও সহযোগী রাজ্য সড়কগুলি ছড়িয়ে রয়েছে যে ১২টি জেলায় সেগুলি হল দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। পাশাপাশি উপকৃত হবে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাও। অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি এই ৩টি পণ্য করিডর ও তার আশেপাশে আগামী দিনে গড়ে উঠতে চলা শিল্পতালুক, শিল্পপার্ক, শিল্পকারখানার হাত ধরে সব থেকে বেশি উপকৃত হতে চলেছে। নবান্ন(Nabanna) সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প দফতরকে যাতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যে সব শিল্পপতিরা রাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন তা যেন এই ৩টি পণ্য করিডর ও তার হাত ধরে উপকৃত হতে চলা ১২টি জেলাতে দ্রুত বাস্তবায়িত করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরেই রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতে যাচ্ছে কড়া নির্দেশ। যেই নির্দেশে বলে দেওয়া হচ্ছে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া শিল্পপতিরা যাতে তাঁদের বিনিয়োগ বাস্তবায়িত করার সুযোগ পান, সেই পরিবেশ-পরিকাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করতে পারেন তা দেখতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেশে প্রথম হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী এখন চাইছেন বৃহৎ শিল্পেও যেন বাংলা এবার দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসে আগামী ১০ বছরের মধ্যে। তাই বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ধরনের শিল্প-সম্ভাবনাকে একত্রিত করার চেষ্টা চলছে। পণ্য করিডর-পরিকাঠামোর আওতায় ধাতু-পণ্য ও ফ্যাব্রিকেশন, বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ, বস্ত্র, রাসায়নিক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, খনিজ, প্লাস্টিক ও রবারের সামগ্রী এবং পণ্য মজুত ও পরিবহণের মতো ক্ষেত্রের উপরে নজর রাখা হচ্ছে।

ওই ৩টি পণ্য করিডর এবং তার আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা রেল-বিমান-জলপথ যোগাযোগ, উন্নত রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়ক ১৯, ৬, ৪১ এবং ৩৪ এর উপস্থিতি যাতে শিল্পপতিদের শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অনুঘটক হয়ে ওঠে সেটা দেখছে রাজ্য সরকার। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের আর পুনঃরাবৃত্তি না হলেও শিল্প গড়তে জমি কোথাও সমস্যা হয়ে উঠবে না। ওই ৩টি পণ্য করিডরের আশেপাশে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৩১ হাজার একর জমি চিহ্নিত করে রেখেছে যেখানে শিল্পপতিরা যে সব বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন সেই সবের বাস্তবায়ন ঘটনানো যাবে। তাই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দ্রুত প্রস্তাবের বাস্তবায়ন ঘটানো হোক। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঢোকঢোল পেটানোই সার! প্রকাশ করা হল না রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ

মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে কাটল জট, কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহারে অনুমতি হাইকোর্টের

‘বিচারব্যবস্থায় মেরুদণ্ড সোজা রাখা লোকজন রয়েছে বলে দেশটা বেঁচে রয়েছে’

দুপরেই আকাশ কালো করে কলকাতায় শিলা বৃষ্টি, বিপর্যস্ত জনজীবন

ভোট প্রচারে বুথ স্তরে টাকা পাঠাচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব, ক্ষুব্ধ কর্মীরা

সন্দেশখালি ইস্যু ব্যুমেরাং, মানছেন বাংলার পদ্মনেতারাও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর