নিজস্ব প্রতিনিধি: সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যকে (Mili Bhattacharya) কোনও নিয়ম না মেনে চাকরি (Job) দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করল তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন (Press Meet) করে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয় দলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলেও একটি চিঠি প্রকাশ করে এই দাবি করা হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের তরফে।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। এই ইস্যুতে বিরোধীরা প্রতিদিন সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার বাম আমলে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা সুর চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করে বলেছিলেন বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হয়েছিল অনেকের। সেই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের চাকরির বিষয়ে নথি প্রকাশ করল তৃণমূল।
জোড়াফুল শিবিরের তরফে নথি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট থেকে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপার পদে চাকরিতে যোগ দেন সুজনবাবুর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। সেই মর্মে কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা তাঁর চিঠিটি নথি হিসেবে তুলে ধরেছে তৃণমূল, টুইট করে। তৃণমূলের অভিযোগ, কোনও পরীক্ষাও দেননি তিনি, কোথাও কোনও নামও ছিল না। স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই চাকরি হয়েছিল তাঁর। প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বেতনও পেতেন মিলিদেবী। ২০২১ সালে সেই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন সুজনপত্নী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, সিপিএম কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছে। বাম আমলে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাও সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার দাবি করেছেন তিনি।