নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা(Justice Amrita Sinha) ও তাঁর স্বামী তথা আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে প্রভাব খাটানোর ঘটনায় যে মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) তাতে বড়সড় ধাক্কা দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বিচারপতি ও তাঁর স্বামীকে। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছিল ঘটনার CBI তদন্তের জন্য। সেই আর্জি নাকচ করে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আস্থা রেখেছে বাংলার তদন্তকারী সংস্থা CID’র ওপরে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় CBI তদন্তের কোনও দরকার নেই। CID তদন্তই যথেষ্ট। যার অর্থ এবার এই মামলায় যখন CID কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-কে ডেকে পাঠাবেন তখন তাঁকে হাজিরা দিতেই হবে।
কলকাতার এক জন বয়স্কা মহিলা ও তাঁর মেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের মামলায় তিনি তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর আত্মীয়েরা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগের পরে তাঁরা পুলিশি তদন্তে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন। সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, পুলিশ কোনও চাপের মুখে মাথা নত না করে তদন্ত করবে। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চে। সেখানে মামলায় অহেতুক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে নতুন করে অভিযোগ করেন আবেদনকারী বাণী রায়চৌধুরীর আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। আবার বিবাদী পক্ষের তরফে বলা হয়, রাজ্য পুলিশ নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তাই CBI তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত।
কিন্তু শীর্ষ আদালত রাজ্য পুলিশের তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’-এর ভিত্তিতে সেই CBI তদন্তের আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেয়, বিচারপতির আইনজীবী স্বামীর দখলদারির অভিযোগ ইস্যুতে আইন মোতাবেক তদন্ত চলবে। এখন এই মামলার তদন্ত করছে CID। এতে উদ্বেগের কী আছে? তাঁরা কোনও প্রভাব ছাড়াই তদন্ত করবে। তবে এরপরেও যদি আরও কিছু বলার থাকে, তাহলে আগামী শুক্রবার শুনব। পুলিশকে বহিরাগত চাপের থেকে রক্ষা করার কোনও প্রশ্ন নেই। পুলিশ জানে কী ভাবে চাপ সামলাতে হয়। তদন্ত আইন অনুযায়ী এগোচ্ছে।