নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। বুধবার সেই তলবের প্রেক্ষিতে সলটলেকের সিজিঅ কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস। বুধবার দুপুর প্রায় পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন তিনি।
বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মানিক ভট্টাচার্য ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে ঢোকার আগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন তাপস মণ্ডল বলেন, অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে টাকা নেওয়া হত, সেই টাকা মানিক ভট্টাচার্যের লোক এসে নিয়ে যেত। তবে সেই টাকা মানিকের কাছ থেকে কার কাছে যেত? তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি মানিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডিএলএড কোর্সের কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলত। সেই ভর্তির ফি অনলাইনের মাধ্যমে নেওয়া হত। কিন্তু সূত্রের খবর, অনলাইনে প্রার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর বহু আসন খালি থাকত। এরপর ওই খালি থাকা আসনগুলিতে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হত। সেই অফলাইন ভর্তির সময় ফি নেওয়া হতো অফলাইনে। সেই টাকা কোথায় যেত, এবার তা নিয়ে বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসের সামনে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তাপস মণ্ডল। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, ডিএলএড কোর্সের জন্য প্রার্থীদের অফলাইনে নাম নথিভুক্তির ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক ভট্টাচার্য। আর তার বিনিময়ে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন তিনি। এই ভাবে মানিক আনুমানিক ২০ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের।