নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে এই পদে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। দায়িত্ব পাওয়ার পরদিন বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে নয়া সভাপতি জানান, প্রতি বছর হবে টেট পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, কোনওকিছু লুকোবো না। নিয়োগে কোনও রকমের অস্বচ্ছতা থাকবে না বলেও তিনি আশ্বাস দেন। পাশাপাশি প্রত্যেকের অভিযোগ শোনা হবে বলেও এদিন জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে এর আগে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানোয় তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালান তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা চলাকালীন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এরপর রাজ্যের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার। তাঁর জায়গায় আনা হয় গৌতম পালকে। তিনি বর্তমানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে কর্মরত।
গৌতম পালকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে বসানোর পাশাপাশি ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেই ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটিতে রয়েছেন লেখক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, ভাষাশিক্ষিকা স্বাতী গুহ, উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকি দাশগুপ্ত, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার এবং অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। মঙ্গলবার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এবার স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে বলে আশ্বাস দিলেন তিনি।