এই মুহূর্তে




বিলের নাম অপরাজিতা, মঙ্গলে বিধানসভায় পেশ করবেন মলয়

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আর জি কর-কাণ্ডের(R G Kar Incident) পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার দাবি তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)— তৃণমূলের এই দুই সর্বোচ্চ নেতৃত্বও কঠোর আইনের আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। এই আবহেই আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) পেশ হতে চলেছে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির ব্যবস্থা করা বিল(Anti Rape Bill to Hang the Rapist)। সেই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল, ২০২৪’। পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী হিসাবে সেটি আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বিলটি পেশ করবেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আগামিকালই বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার পর, তা পাশ করানো হবে।  

আরও পড়ুন, ‘মা-বোনেদের ছবি বিকৃত করে টাঙিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়ে সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা

এদিন থেকেই শুরু হয়েছে, রাজ্য বিধানসভার ২ দিনের বিশেষ অধিবেশন। তবে এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকপ্রস্তাব আনার পরই েদিনের মতো অধিবেশন পর্ব শেষ করে দেওয়া হয়। রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে নারী নির্যাতন রুখতে নতুন বিল পেশ করবে সরকার পক্ষ। বিজেপির(BJP) পরিষদীয় দলেরও সেই বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ‘অপরাজিতা’ বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর, সেটি আইনে পরিণত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে। দেখার বিষয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সেই বিলে সই করেন কিনা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, রাজ্যপাল সেই বিলে সই না করলে তৃণমূলের মহিলা সদস্যরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে ঘেরাও করবেন। যতদিন না তিনি সেই বিলে সই করছেন, ততদিন সেই ঘেরাও চলবে।  

আরও পড়ুন, মালদায় কংগ্রেসকে ধাক্কা দিল তৃণমূল, জার্সি বদল কালিয়াচকের ৪ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের

যদিও প্রশ্ন উঠেছে, ধর্ষণের মতো ঘটনায় শাস্তির জন্য কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। তারপরও কি কোনও রাজ্য পৃথক ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে পারে? কোন পথে সেই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে পারে? সংবিধান বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রের আইন থাকলেও রাজ্য সরকার চাইলে আইন আনতেই পারে। সংবিধানেই সেই সুযোগ দেওয়া রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের কনকারেন্ট লিস্টের আইটেম-১ এ ফৌজদারি আইনের উল্লেখ রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য চাইলে আইন আনায় কোনও বাধা নেই। বিধানসভায় বিল পাশের পর রাজ্যপালের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। তারপর যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই রাজ্যে ওই আইন কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতি সব সীমারেখা বিচার করবেন। যদি রাজ্যের প্রণিত আইন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কোনও সংশয় থাকে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী তিনি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন।

আরও পড়ুন, বাবুঘাটের শুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার ২, অধরা মূল অভিযুক্ত

রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইতে গেলে সুপ্রিম কোর্টে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সব শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে পারে রাষ্ট্রপতিকে। সব সংশয় শেষ হলে তবেই আইন প্রণয়ন হতে পারে। তবে ওই আইন কার্যকর হলেও আর জি কর কাণ্ড কিংবা তার আগে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না। আইন পাশ হওয়ার পর ঘটনার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে, রাজ্যের আইন যেন কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধী না হয়। যদি কেন্দ্রের আইনের সঙ্গে রাজ্যের আইনের বিরোধ হয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের আইন থাকবে। রাজ্যের আইন থাকবে না। ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য আইন তৈরি করলেও কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে বিরোধ বাধলে কেন্দ্রীয় আইন প্রাধান্য পাবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

পিছন থেকে আন্দোলনে মদত যুগিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছে বিজেপি

রবিবার হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা রাতের দিকের সময় বাড়ছে

বড়বাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী দ্রব্য আটক করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর