নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাড়পত্র মিললো ঠিকই, কিন্তু কিছু শর্তও জুড়ে গেল। নজরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নেতাই(Netai) যাত্রা। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার(Jhargram District) লালগড় থানার(Lalgarh PS) নেতাই গ্রামে সিপিএমের হার্মাদরা গুলি করে খুন করেছিল ৯জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। সেই ঘটনায় আগামী ৭ জানুয়ারি, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে নেতাই গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু আপত্তি তোলে রাজ্য পুলিশ। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই মামলাতেই এদিন অর্থাৎ শুক্রবার রায় দিয়েছে আদালত। সেখানে শুভেন্দুকে নেতাই যাত্রার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দুর মামলার শুনানি ছিল এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেইখানেই তিনি সাফ জানান, ‘শহীদ তর্পণের রাজনৈতিক রং লাগুক, চাই না। শান্তিতে হোক কর্মসূচি। গোটা কর্মসূচির ভিডিয়োগ্রাফি করা হোক।’
এরপরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই অবশ্যই যেতে পারেন শুভেন্দু। কিন্তু তাঁকে কিছু শর্ত মানতে হবে। একইরকম ভাবে শর্ত মানতে হবে নেতাইয়ের শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটিকেও। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নেতাইয়ে শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটিকে তাঁদের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শেষ করতে হবে। শুভেন্দু সেখানে যেতে পারবেন বিকেল ৫টার পর। ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবেন। শুভেন্দুর সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকবেন। তবে বেশি লোক থাকতে পারবেন না। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই কর্মসূচি। তাই স্লোগান দেওয়া যাবে না। শর্ত দেওয়া হয়েছে, শহিদ বেদীতে মাল্যদান করার সময়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। আদালতের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে পুলিশকে। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নেতাইয়ে যেতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়েতে হয়েছে তাঁকে। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে সেখানে গিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। যদিও তৃণমূলের দাবি, গতবছর গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁকে গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার জেদ ধরেছিলেন। সেই কারণে সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই পুলিশ তাঁকে আটকেছিল।