নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৮ মার্চ। আগামিকাল Good Friday। সরকারি ভাবে ছুটি। সারা দেশজুড়ে। পরের দুই দিন শনি আর রবিবার। সেই রবিবার আবার ৩১ মার্চ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষদিন। কিন্তু শুক্র থেকে রবি পর পর ৩ দিন ছুটি থাকায় এদিনই সরকারি ভাবে অর্থবর্ষের(Financial Year) শেষ দিন বলে চিহ্নিত হচ্ছে। আর তার জেরে নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বেশ কিছু দফতর সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। সেই সব দফতরের মধ্যে রয়েছে পূর্ত, পরিবহণ, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি-সহ আরও কয়েকটি দফতর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এদিন বিকেল ৪টের পর আর নতুন করে কোনও বিল জমা দেওয়া যাবে না। এমনকি ট্রেজারি বা Pay and Accounts অফিসেও কোনও আর্থিক লেনদেন হবে না। এমনটা হওয়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি দফতর বেশ সমস্যায় পড়েছে। কারণ, আর্থিক বছরের শেষে টানা ৩ দিন ট্রেজারি বন্ধ থাকায় সংশোধিত বাজেটের(Revised Budget) খরচ নিশ্চিত করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া এই দফতরগুলিকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।
যদিও অর্থ দফতরের একাংশের দাবি, এ বছর যে রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষ ২৮ তারিখেই শেষ হচ্ছে, তা বহু আগেই রাজ্য সরকারের সব দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও দফতর ভিত্তিক আগাম কোনও ব্যবস্থা না করাতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাদের আরও দাবি, শেষ ৩ দিনের ছুটির কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল অর্থ দফতর। সেই নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে বলা হয়েছিল সব দফতরকে এবং ট্রেজারিতে নিযুক্ত আধিকারিকদের। সেই নির্দেশিকা মানা হলে এ ভাবে দফতরগুলিকে বিপাকে পড়তে হত না। তবে বিপাকে পড়া দফতরগুলিরও পাল্টা যুক্তি রয়েছে। অর্থ দফতরের নির্দেশিকা তাদের হাতে আসার পরেই তা মেনে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু পূর্ত, পরিবহণ, সেচের মতো দফতরগুলিকে জেলাভিত্তিক প্রতি দিন কোনও না কোনও নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে অনেক কাজ করতে হয়। সেই সব কাজ করতে বহু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রাখতে হয়। সে ভাবেই ট্রেজারির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আচমকা ২৮ তারিখে অর্থবর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।