এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যের পুরসভাগুলিতে আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) এখন ১১৮টি পুরসভা(Municipality) ও ৭টি পুরনিগম(Municipal Corporation) রয়েছে। এই পুরসভাগুলিতে নানা সময়েই আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ(Allegations of Financial Irregularities) ওঠে। নিয়মের পরিসরের বাইরে গিয়ে কিছু কিছু পুরসভা উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এক্ষেত্রে Executive Officer ও Finance Officer-কে এড়িয়েই এসব কাজ করা হচ্ছে। তাঁদের অনুপস্থিতিতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গৃহীত হলে আর্থিক অনিয়মের সম্ভাবনা থেকে যাওয়াই স্বাভাবিক। ফলে পুরসভার পাশাপাশি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে(Department of Urban Development & Municipal Affairs) কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছিল। তাই এ ব্যাপারে কড়া মনোভাব নিল রাজ্য সরকার। পুরসভাগুলিকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, Executive Officer ও Finance Officer-কে বাদ দিয়ে আর্থিক বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাকে অনুমোদন করা হবে না। 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের পুরসভাগুলিতে আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। বহু জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছিল যে, নিয়মের পরিসরের বাইরে গিয়ে কিছু কিছু পুরসভা উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুরসভার Executive Officer ও Finance Officer-কে না জানিয়ে বা তাঁদেরকে এড়িয়ে। কয়েকটি জায়গা থেকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসায় রাজ্য সরকার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মের বেড়াজালে বাঁধতে চাইছে রাজ্যের সব পুরসভাকেই। পুরনিগমগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়মের পথে হাঁটছে রাজ্য। এই বিষয়ে গত ৭ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তাতেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, Executive Officer ও Finance Officer-কে বাদ দিয়ে আর্থিক বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না রাজ্যের কোনও পুরবোর্ড। এরপরও যদি কোনও পুরসভা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দিতে বাধ্য হবে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এখন থেকে Executive Officer ও Finance Officer-দের নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও পুরবোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। আইন অনুযায়ী পুরসভার Executive Officer ও Finance Officer-দের কী কী করণীয়, তাও পৃথকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, শুধু বৈঠকে তাঁদের উপস্থিত থাকলেই হবে না, পুর প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তের ফলে যদি কোনও আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে তা শুধরে দিতে হবে তাঁদের। প্রয়োজনে পুর আইন ব্যাখ্যা করে সমাধান সূত্রও বের করতে হবে তাঁদের। যদিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্নও উঠছে। পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধানদের যা দাপট তাতে করে তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ ভাবে অকেজো করে নিজেদের সিদ্ধান্ত আদৌ কী বলবৎ করতে পারবে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর