নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGH COURT) দ্বারস্থ ৩ মন্ত্রী (MINISTER)। জানা গিয়েছে, নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতার সম্পত্তি বেড়েছে। আয়ের উৎস জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি ছিল গত সোমবার। জানা গিয়েছে, জনৈক ওই ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছিলেন ২০১৭ সালে। তাঁর অভিযোগ, গত ২০১১ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৯ জন নেতা ও মন্ত্রীর সম্পত্তি বেড়েছে ব্যাপক ভাবে। কী করে বেড়েছে এত সম্পত্তি, তা জানতে চেয়েই ওই ব্যক্তি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা।এই মামলার শুনানি হয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি নাম উল্লেখ করে দাবি করেছেন, কয়েকজনের সম্পত্তি বেড়েছে ১০০ থেকে ১০০০ গুণ পর্যন্ত। এই মামলাতেই ইডি’কে (ED) পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিi। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের অভিযোগ, সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় নাম রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও। কিন্তু বেছে বেছে শুধু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরই নাম তোলা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই মামলায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্যের মতো হেভিওয়েটদের।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই মামলা আদৌ জনস্বার্থের জন্য করা হয়নি। করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে, নজরে আসার জন্য এই মামলা করেছেন কেউ। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রশ্ন তুলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পত্তি কতগুণ ও কী ভাবে বেড়েছে তা খতিয়ে দেখা হয় না কেন? তিনি বলেছিলেন, ‘আয় করা বা রোজগার করা কোনও অন্যায় নয়। সম্পত্তি মানুষ বাড়াতেই পারে।’ মন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সকলের কাছে জিজ্ঞাসা করা হোক, ফিরহাদ কোনও বেআইনি কাজ করে কি না। এরপরেই ফিরহাদ বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছে, তাতে আমরা লজ্জিত’। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে মানেই অপরাধী সবাই নয়। তদন্তে সঠিক তথ্য উঠে আসুক।’
ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ‘যার যা সম্পত্তি সব কিছুর তথ্য দেওয়া আছে নির্বাচনের হলফনামায়। মিথ্যে কাদা ছেটানো হচ্ছে। আয়কর দফতর এনিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি।’ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সাফ কথা, সব দলের নেতাদেরই সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় নাম রয়েছে। কিন্তু স্রেফ রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলের মন্ত্রীদের নাম সামনে আনা হচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে।