নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আচ্ছে দিন’র নমুনা বেশ ভালই দেখতে পাচ্ছেন দেশবাসী। নিত্যদিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম তো বাড়ছেই, এবার সেই দৌড়ে কেন্দ্র সরকার সামিল করেছে রান্নার গ্যাসকেও। এদিন একধাক্কায় রান্নার গ্যাসের(LPG Cylinder) দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। সেই মূল্যবৃদ্ধির জেরে এদিন সকাল থেকেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একযোগে আক্রমণ করছে মোদি সরকারকে। তৃণমূলের(TMC) তরফেও করা হয়েছে টুইট(Tweet)। তাতে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের উজ্জ্বল পদক্ষেপ। তারা ভারতের জনগণের জন্য কতটা যত্নশীল তা নিয়ে কথা বলা কোনওভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশের অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের অভিমত, কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বহু মানুষ তাঁদের রুটিরুজি হারিয়েছেন। সেই ক্ষত মেরামত না করেই চরম অযৌক্তিকভাবে ও অমানবিক ভাবে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের উচিত এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রান্নার গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপির শীর্ষনেতারা মুখে কুলুপ আঁটলেও মোদি সরকারের সমর্থনে মুখে খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘সারা দুনিয়ায় দাম বাড়ছে। পেট্রোলিয়াম যে কোনও পদার্থ, গ্যাস, তেল, যুদ্ধের প্রভাবে দাম বাড়ছে। অন্য দেশে অনেক বেশি দাম বেড়েছে। আমাদের সরকার তবু অনেকটা আটকে রেখেছে। তা-ও কিছু কিছু দাম বাড়ছে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে, যার আঁচ পড়ছে এখানেও। আমাদের কিছুটা সহ্য করতে হবে।’ দিলীপের এই মন্তব্যে আবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার(Joyprakash Majumdar)। তিনি দিলীপকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘দিলীপবাবু কোথায়, কী বলেন, তার ঠিকানা রাখা মুশকিল। কিছু দিন আগে বলেলন, সরকার পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। আজ বলছেন, সরকার অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। অন্য দেশে কী দাম, তার খবর রাখেন দিলীপবাবু! তাহলে অন্য দেশে দাম সর্বনিম্ন থাকার সময় ভারতে পেট্রোলের দাম লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল কেন? এ সবের উত্তর নেই ওঁদের কাছে। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এলআইসি-র মতো একাধিক রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা বিক্রি করে টাকা তুলছে সরকার। পেট্রোপণ্যের ওপর কর চাপিয়ে সরকার চলছে। মানুষের কষ্টের দিকে খেয়াল নেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবছে না মোদি সরকার। তাদের তেল নীতির জন্যই সাধারণ মানুষের এত দুর্দশা।’