নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির(Sandeshkhali) জেলিয়াখালি এলাকা। গত দু’দিন ধরে সেখানে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। যত্রতত্র চলেছে অবাধে ভাঙচুর আর আগুন লাগানোর ঘটনা। এদিন অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে সেখানে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাতে নেমেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। আর সন্দেশখালির এই ঘটনার জেরে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। তাঁদের দাবি, বিরোধীদের উস্কানিতেই এমন ঘটনা ঘটছে। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করে জোড়াফুল শিবির। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বীরবাহা হাঁসদা।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, ‘কিছু মানুষের, কিছুক্ষণের জন্য হয়তো কোনও ক্ষোভ ছিল। কোনও ব্যক্তির গলদ থাকতে পারে। কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনও এক জনের সমস্যা থাকতে পারে। সেই সমস্যার জন্য কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং আর একটা দল মানুষকে উস্কে দিয়ে সাময়িক গন্ডগোলের চেষ্টা করছে। প্ররোচনা দিয়েছে। সংযত ছিল তৃণমূল এবং পুলিশ। দু’দিন বাদে দেখা যাবে এই সমস্যা আর নেই। বিজেপি যা তাড়াহুড়ো করছে, তাতে ইডি না আবার শাহজাহানকে খুঁজতে তাজমহল চলে যায়।’ যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে সন্দেশখালীর ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মদত থাক বা নাই থাক সেখানে নকশাল ও মাওবাদীদের ইন্ধন রয়েছে। সেখানে আছেন বেশ কিছু সংখ্যক বহিরাগত মানুষও। ঠিক যেভাবে ভাঙড়ে গ্রিড বিরোধী আন্দোলন করা হয়েছিল, সেই ধাঁচেই সন্দেশখালিতেও আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য কায়েম করার একটা প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।