এই মুহূর্তে




ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে বিতর্ক, মঙ্গলে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল প্রতিনিধিদল




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় নাম তোলা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে নিজেদের আপত্তি জানাতে মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিদল। সকাল এগারোটার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে নয়, দলীয় বুথ স্তরের এজেন্টদের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছে, সে বিষয়েও দলের আপত্তির কথা জানানো হবে।

চলতি বছরের শেষের দিকেই বিহারের বিধানসভা ভোট। তার আগেই ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এক নির্দেশিকায় কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, সেই ভোটারদের জন্মতারিখ এবং জন্মস্থানের প্রমাণ্য নথি দাখিল করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ভোটারেরা জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্টের মতো নথি প্রমাণ হিসাবে জমা দিতে পারবেন। ১৯৮৭ সালে ১ জুলাইয়ের পরে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজের পরিচয়ের প্রমাণ্য নথির সঙ্গে বাবা-মায়েরও নথি জমা দিতে হবে। কমিশনের ওই নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৬ জুন তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিহারের নাম করে কমিশন বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে। কারণ বিহারে সরকারে বিজেপি। সেখানে কিছু করবে না। ওরা আসলে বাংলা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করছে। বিজেপি যা বলছে, কমিশন তা-ই করছে। ওরা আসলে ভয় পেয়েছে।’

শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে কমিশনের নয়া ফরমান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি মমতা। কমিশনের তরফ থেকে দলীয় বুথ স্তরের এজেন্টদের তথ্য চেয়ে পাঠানো চিঠি নিয়েও আপত্তি তোলেন। তৃণমূল সুপ্রিমো প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন আমি আমার দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের তথ্য দেব? আমি কেন তাঁর গোপনীয়তা জানাব?’ এমন ফরমান নিয়ে নিজেদের আপত্তি নথিবদ্ধ করতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার (৩০ জুন) রাতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এগারোটার সময়ে নির্বাচন সদনে আসতে পারেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে এদিনই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, ‘বিহারের ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত ৪.৯৬ কোটি ভোটারের জন্য নতুন করে আর কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ৪.৯৬ কোটি ভোটারের স্বীকৃতির জন্য বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নথিও জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কার্যত ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে জন্মানো কাউকে বাড়তি নথি দিতে হবে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২১ জুলাই পর্যন্ত উত্তরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে হবে হালকা থেকে মাঝারি

‘মহারাষ্ট্র থেকে মুম্বইকে যে আলাদা করবে, তাকে টুকরো করে ফেলব’, হুঙ্কার উদ্ধবের

দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চলন্ত ট্যাক্সিতে ভয়ংকর আগুন, প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা

কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় প্রাক্তন ওসি-সহ চার জনের জেল হেফাজত

‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে শনিবার কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন অভিষেক

বাংলায় এসে মিথ্যাচার করছে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কটাক্ষ তৃণমূলের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ