নিজস্ব প্রতিনিধি: শুভ নববর্ষ। স্বাগত ১৪৩০। নতুন বাংলা বছরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে(TMC) কদর বাড়তে চলেছে নয়া প্রজন্মের। কার্যত দলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এবার নতুন ও তরুণ মুখ তুলে আনতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। কার্যত মমতা যে দলের ব্যাটন অনেকটাই এখন অভিষেকের হাতে তুলে দিয়েছেন সেটা অনেক আগেই বোঝা গিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে অভিষেকের মতো তরুণ প্রজন্মকেও এবার আস্তে আস্তে দলের মুখ হিসাবে তুলে ধরা হবে। সেই নতুন মুখ তুলে আনার ক্ষেত্রে আমজনতার রায়কেও দেখে নেওয়া হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন মুখদের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেই(General Election 2024) নামানো হবে আমজনতার রায় নিতে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে যারা দলের সাংসদ আছেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় কালীঘাটে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কারা উঠে আসতে চলেছেন দলের মুখ হিসাবে আর কারাই বা বাদ যাচ্ছেন। প্রথমেই আসা যাক কারা উঠে আসতে পারেন দলের নতুন মুখ হিসাবে যারা ২০২৪’র সম্ভাব্য প্রার্থী? লোকসভার প্রার্থী ও দলের নতুন মুখ হিসাবে উঠে আসতে পারেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, মইনুল হাসান, সৌমিক হোসেন, সুপ্রকাশ গিরি, সুজাতা মণ্ডল, শুভ্রাংশু রায়রা। এর পাশাপাশি মাঠে থাকবেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। মাঠে নতুন করে নামানো হতে পারে কুণাল ঘোষকেও। স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে এতগুলো নতুন মুখ সামনে আনতে হলে কারা কারা বাদ পড়তে পারেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে নতুন তথা তরুণ মুখ হিসাবে যাদের মাঠে নামানো হবে তাঁদের সিংগভাগকেই প্রার্থী করা হতে পারে বিজেপির জেতা আসনে। এর পর এখন যারা সাংসদ আছেন তাঁদের বয়স, বিগত বছরে তাঁদের কার্যকলাপ, দলের অনুষ্ঠানে ও কাজে সক্রিয়াতা এসব খতিয়ে দেখেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা ও অভিষেক। তবে টলিউডের যে সব তারকা সাংসদ আছেন তাঁদের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশিই থাকছে।
আরও পড়ুন ২৫এ ভোকাট্টা মমতার সরকার, ষড়যন্ত্র নিজেই ফাঁস করলেন শাহ
একইসঙ্গে তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখনকার যারা বিধায়ক আছেন বা পুরপ্রধান আছেন তাঁদের মধ্যেও কাউকে কাউকে সাংসদ বা বিধায়ক হিসাবে তুলে আনা হবে। কেননা দলের নতুন মুখের প্রয়োজন যারা অভিষেকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াত্বে পারবেন, লড়াই করতে পারবেন, বিজেপির(BJP) চোখে চোখ রেখে বার্তা দিতে পারবেন। প্রয়োজন হলে জেলা পরিষদ, পুরসভা অথবা রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকেও মুখ এনে সামনে তুলে ধরা হতে পারে দলের প্রার্থী বা মুখ হিসাবে। তবে যাই হোক না কেন সেই নিয়ে মমতা আর অভিষেকই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সঙ্গে মেনে চলা হবে এক ব্যক্তি-এক পদ নীতিও।