নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হলেও আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যে একলাই লড়তে চান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা বিজেপির সঙ্গে দহরম-মহরম চালিয়ে গিয়ে নানা ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছেন তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। তাই রাজ্যের কংগ্রেসকে কোনও কারণেই ছাড় দিতে চাইছেন না। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো ইঙ্গিত দিয়েছেন, জেলার তিন আসনেই একলা লড়াইয়ের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়লে মুর্শিদাবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী কোনও ফ্যাক্টর হবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে বিভিন্ন জেলার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। গত ১২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই দিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন থাকায় বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। এদিন কালীঘাটে নিজের বাড়িতেই মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে বিশেষ সতর্ক করেন তৃণমূল নেত্রী। সংবাদমাধ্যমের সামনে লাগাতার দলবিরোধী কথা বলা বিধায়ককে সতর্ক করে দিয়ে মমতা বলেন, ‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন। নিজেকে কেউকেটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’ এর পরে তিনি হুমায়ুনকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কম কথা বলার নির্দেশ দেন। বৈঠকে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরের কাজের প্রশংসাও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী লোকসভা ভোটে জেলায় আরও ভালো ফল চাই। আমরা সবাই মিলে লড়াই করলে অধীর কোনও ফ্যাক্টর নয়। মাথা থেকে বার করে দাও।’ তাহের ও খলিলুর রহমানের কাজের প্রশংসাও করেন মমতা। জেলায় কারও মৌরসীপাট্টা চলবে না বলে জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ব্লকের সঙ্গে বিধায়ক ও জেলা সংগঠন ঝামেলার কথা কানে আসছে। অবিলম্বে ওই ঝামেলা মেটাও। আমি কিছু শুনব না।’